বাজারে যখন বিদেশি ফল আপেল, কমলা ধরাছোঁয়ার বাইরে তখন চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করা পণ্য কনটেইনার বন্দী অবস্থায় পচছে। এনবিআরের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত ৪ হাজার ৮শ' কোটি টাকার বেশি মূল্যের বিদেশি ফল আমদানি হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে খেজুর, আঙুর, কমলা, নাশপাতি ও আপেল।
এমন আমদানি করা ৫ কনটেইনার আপেল ও কমলা বিক্রির জন্য উন্মুক্ত নিলামে তোলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। নিলামে তোলা প্রায় ১৪১ টন ওজনের আপেল ও কমলার শুল্কায়ন মূল্য বা সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয় ২১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে মিশর থেকে আমদানি করা প্রায় ৪২ লাখ টাকা মূল্যের সাড়ে ২৩ টনে কমলার নিলামে সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। আর ৮৫ লাখ টাকা মূল্যের ৪৭ টন আপেলের দর উঠেছে ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অর্থাৎ সংরক্ষিত মূল্যের চেয়ে অনেক কমে বিক্রি হলো মূল্যবান ডলার দিয়ে আমদানি করা এসব ফলমূল।
বিডাররা বলছেন, দেরিতে নিলাম হওয়ায় অধিকাংশ কমলা পচে গেছে। যথাসময়ে নিলাম হলে ভালো দাম পাওয়া যেতো। সরকার বেশি রাজস্ব পেতো, তারাও লাভবান হতেন।
বিডার শাহেদ কাদেরী বলেন, 'এইটা শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার নিলাম। আপেল, কমলা, খেজুর এইগুলো তো চলছে এইগুলো যদি আরেকটু আগে করা যেত তাহলে ব্যবসায়ীরা লাভবান হতো। '
পচনশীল খাদ্য পণ্যের নিলাম যথাসময়ে না হওয়ায় প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছে না চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। এতে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অন্যদিকে নিলামে বিক্রি হওয়া পণ্য খালাসের অনুমোদন পেতে দেরি হওয়ায় ফলমূল ও খাদ্য পণ্যের নিলামে অংশ নিতে বিডারদের অংশগ্রহণ কমেছে। এতে বিপুল অংকের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ে আমদানি করা পণ্য গুণগতমান নষ্ট হয়ে বাজারমূল্য হারাচ্ছে।
বিডার এস এম আল মুরাদ বলেন, 'আমদানি পণ্য সাতদিন হচ্ছে ফ্রি টাইম এরপরে ৩০ মধ্যে নিলামে চলে আসে এরপরে যদি স্পট ট্রেন্ডার দিয়ে দেই তাহলে জটিলতা কম থাকে আন স্পট আমরা টাকা পেমেন্ট করে নিতে পারবো।'
সেই সঙ্গে নিলামে বিক্রি হওয়া পণ্যের দর কমিটি অনুমোদন দিতে দেরি করায় দ্রুত পণ্যটি নিতে পারেন না। ফলে খাদ্যের গুণ গত মান নষ্ট হতে থাকে।