দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে ভারতের সঙ্গে আমদানির চুক্তি হওয়া ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের প্রথম চালান চুয়াডাঙ্গার দর্শনা হয়ে সিরাজগঞ্জ রেল ইয়ার্ডে পৌঁছায় সোমবার ভোর পাঁচটায়। সকাল ৯টায় ৪২টি ওয়াগন থেকে শুরু হয় পেঁয়াজ খালাস কার্যক্রম।
সকাল থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও গাজীপুরের টিসিবি ডিলাররা ১০ টন করে পেঁয়াজ নিয়ে যান নিজ নিজ গন্তব্যে। মঙ্গলবার থেকে ভোক্তা পর্যায়ে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে এসব পেঁয়াজ। প্রতি জনকে দেয়া হবে সর্বোচ্চ ২ কেজি।
ডিলাররা বলেন, ‘ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে ভোক্তাদের হাতে পৌঁছে দেয়ার জন্য আমাদেরকে ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। পয়েন্ট এখনো জানানো হয় নাই। লোড করার পরে জানানো হবে।’
প্রথম চালানের ১৬৫০ টন পেঁয়াজের ১ হাজার টন ঢাকায়, ৪৪০ টন চট্টগ্রামে ও ২১০ টন বিক্রি হবে গাজীপুরে। ঈদের আগের এসব পেঁয়াজ আমদানিতে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে টিসিবির অতিরিক্ত পরিচালক মো. গোলাম খোরশেদ।
তিনি বলেন, 'গত ১ মাস ধরে পেঁয়াজের বাজার বেশ ঊর্ধ্বমুখী। এ বাজারটাকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং ভোক্তাদের কাছে কম মূল্যে সরবারহ করার জন্যই আমাদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।'
এর আগে গেল ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে ২৩ মার্চ দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর এ নিষেধাজ্ঞা অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্ধিত করে। যার প্রভাবে বাংলাদেশের বাজারে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম।