মৃত্যুঞ্জয় কুমার পাল হাতের নরম ছোঁয়ায় বানান মাটির হাড়ি। ঐতিহ্যগতভাবে তার এ শিল্প মিশে আছে বাংলার ইতিহাসে।
সাংস্কৃতিক মেলায় তাই ছুটে যান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। রাজশাহীর পবা থেকে এসেছেন বিজিএমইএ'র ৩ দিনের হেরিটেজ মেলায়। সুযোগ পেলে রপ্তানিও করতে চান দেশের বাইরে।
মৃত্যুঞ্জয় বলেন, 'দেশে তো চলে না; বিলুপ্ত হয়ে গেছে। মৃৎশিল্প নিয়া দিনযাপন করা খুব দায় হয়ে পড়েছে। যদি কেউ আমাদের সুযোগ দেয় তাহলে দেশের বাইরে বাজারজাত করতে পারবো।'
মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিজেদের তৈরি পণ্য নিয়ে এসেছেন উদ্যোক্তারা। মেলার মাধ্যমে রপ্তানির যোগসূত্র পেতে চান তারা। বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য দশর্ককে দেখানো যে সংস্কৃতিটা আমরা এখনো ধরে রাখার চেষ্টা করছি।'
ঐতিহ্যগত এসব পণ্যের মাধ্যমেও বৈশ্বিক বৈচিত্র্যতা খুঁজছেন তৈরি পোশাক মালিকরা। তাই ১৮ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলার সংস্কৃতিকে বৈশ্বিক পরিচয় দিতে বিজিএমইএ'র এমন আয়োজন।
বিজিএমইএ'র সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, 'বিএফটির অনেক ডিজাইনার আছে তারা ডিজাইন করে রপ্তানি করছে। সুতরাং আমাদের এখানে আলাদা করে রপ্তানি করার সুযোগ আছে।'
সংবাদ সম্মেলনে পোশাকের বৈচিত্র নিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি ভিন্নমত প্রকাশ করেন। বলেন, 'গেল ৬ মাসে ম্যানমেইড পোশাকের কাঁচামাল আমদানি বেড়েছে, যা ইতিবচাক। তবে ইপিবির রপ্তানি আয়ের তথ্যের সাথে বাস্তবতার মিল নেই।'
মেলায় ৪০টি স্টলে অংশ নিয়েছে ছোট বড় প্রায় অর্ধশত প্রতিষ্ঠান।