স্বনির্ভর অর্থনীতিতে সক্ষমতা বাড়াতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে গত বছর মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এ প্রকল্পের খরচ দুই দফায় বেড়ে দাঁড়ায় ২৪ হাজার ৩৮১ কোটি টাকায়।
বন্দর নির্মাণে পুরোটাই অর্থায়ন করবে জাপান। আর অবকাঠামো কাজ করবে দেশটির দুটি কোম্পানি। এরমধ্যে প্রথম টার্মিনালে থাকবে ৪৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি কনটেইনার জেটি ও ৩৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি মাল্টি পারপাস জেটি।
বিশ্বের যে কোনো বন্দর থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে এ বন্দরে ভিড়তে পারবে ১৪ মিটার ও ১৬ মিটার গভীরতার বড় জাহাজ। গভীর সমুদ্র বন্দর হলে পণ্য খালাস ও পরিবহণ ব্যয় কমবে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। আর বন্দর থেকে সরাসরি মহাসড়ক যেতে তৈরি করা হবে ২৭.৭ কিলোমিটার সড়ক।
আর এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে মঙ্গলবার মাতারবাড়ী বন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পে জাইকার সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে জাপানের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো মজবুত হবে বলে মনে করেন দু দেশের প্রতিনিধি।
এ সময় ২০২৯ এর শেষে বা ২০৩০ সালে মাতারবাড়ী বন্দর কার্যক্রম শুরুর আশা প্রকাশ করেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা।
নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমাদের দেশে ডিপ সি প্রজেক্ট করতে গিয়ে এক ধরনের ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে যাই। দ্বন্দ্বের কারণে আমাদের এসব প্রকল্প বিশেষ করে সি পোর্ট, ডিপ সি-পোর্ট নিয়ে আমরা কখনো জাতীয় পর্যায়ে চিন্তা করি নি। আমরা পার্টি লেভেলে চিন্তা করেছি।’
বছরে ২ থেকে আড়াই বিলিয়ন ডলার রাজস্ব আয়ের যোগান দেবে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর। সেই সাথে বন্দর নিরাপত্তার পাশাপাশি এ প্রকল্পের সাথে সমুদ্র সীমান্তে প্রতিরক্ষার কথা ভাবছে সরকার।