গ্রেপ্তার হওয়া অন্যরা হলেন— শওকত মীর, জাহিদ, মোস্তফা, সিদ্দিক, বুলবুল, তোফাজ্জল। এদের মধ্যে হত্যা, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত এনামুল হক মোল্লা এবং শওকত মীর।
অভিযোগ রয়েছে, গ্রেপ্তার এনামুল হক মোল্লা দীর্ঘদিন ধরেই সৌদি আরবের মক্কা বিএনপির সভাপতি বলে নিজের পরিচয় দিতেন। সম্প্রতি গাজীপুর-৩ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি।
পরে মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এনামুল হক বিএনপির কেউ না বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা।
আরও পড়ুন:
কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, ‘এনামুল হক মোল্লা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। তিনি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকায় তাকে দল থেকে বহু আগেই বহিষ্কার করা হয়েছিল। সরকার পতনের পর বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তিনিও প্রকাশ্যে এসেছেন। তার দায় বিএনপি নেবে না।’
যদিও বিষয়টিকে পরিকল্পিত বলছেন এনামুল হক মোল্লার স্বজনরা। এনামুল হক মোল্লার ছোট ভাই মাজহারুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘বিরোধীদের যোগসাজশে বাইরে থেকে অস্ত্র এনে ফাঁসানো হয়েছে। অভিযানের সময় সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটা মামলা দায়ের করেছে।





