আজ (রোববার, ২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেহেরপুর জেলা যুগ্ম জজ ২য় কোর্টের বিচারক হুমায়ুন কবির এ রায় দেন।
মামলার বাদী দেবাশীষ বাগচী জানান, পারিবারিক সূত্রে বহু বছর যাবত ঠিকাদারি ব্যবসা করে আসছিলেন তিনি। সে ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে সরফরাজ হোসেন মৃদুলের সঙ্গে যৌথভাবে ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করেন।
২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গণপূর্ত, জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা প্রকৌশলী, এলজিইডিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টা নির্মাণকাজ সম্পন্নও করেন। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২৫ থেকে ২৭ কোটি টাকা।
২০২১ সালের প্রথম দিকে যৌথ ঠিকাদারি ব্যবসার সমাপ্তি ঘটলে সরফরাজ হোসেন মৃদুলের সঙ্গে তার মূলধন ও লভ্যাংশসহ আনুমানিক দুই কোটি ৫০ লাখ টাকার বেশি পাওনা হয়। তবে মৃদুল এক কোটি ৮০ লাখ টাকা দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মীমাংসা করেন এবং ২০২৩ বছরের জুলাই মাসের ১৬ তারিখে তাকে ঢাকায় যেতে বলেন।
দেবাশীষ বাগচী বলেন, ঢাকার আদাবরে তার বাসার সামনে গেলে রিংরোড সাহাবুদ্দিন প্লাজার ওসিস কফি শপে বসে আমাকে ২৪ জুলাই তারিখ দিয়ে রূপালি ব্যাংক মেহেরপুর শাখার এক কোটি ৮০ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করেন বাদী। আমি চেকে দেওয়া তারিখ অনুযায়ী ২৪ জুলাই টাকা উত্তোলনের জন্য অগ্রণী ব্যাংকে চেক জমা করি। এক সপ্তাহ পর ব্যাংক থেকে চেক ডিজঅনার দেখিয়ে সার্টিফিকেট প্রদান করে। যেখানে লেখা আছে, গত ৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে।’
পরে দেবাশীষ বাগচী বাদী হয়ে ২০২৩ সালের ১৯ অক্টোবর এই ঘটনায় মেহেরপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার নাম্বার নম্বর-৯০৭/২৩।
তিনি এই মামলার রায়ে খুশি প্রকাশ করে তাকে সহযোগিতা করায় সকলকে ধন্যবাদ জানান। মামলায় রাষ্ট্র পক্ষে সাইফুল ইসলাম ও আসামি পক্ষে খন্দকার আব্দুল মতিন আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।
এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ রিজন বলেন, ‘ডেভিল হান্টের মাধ্যমে শুধু ফ্যাসিস্টদের গ্রেপ্তার নয় আদালতের বিচার কাজ শুরু হয়েছে।’ এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।