এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাচান আদালতে আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান চৌধুরী ইমরান আহমেদের জামিন আবেদন করে আদালতে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জামিন আবেদনের ঘোর বিরোধিতা করে সর্বোচ্চ রিমান্ড প্রার্থনা করেন। উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে ও মামলার এজহারের গুনাগুণ বিবেচনা করে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সিন্ডিকেট করে অর্থ আত্মসাৎ ও মানবপাচারের অভিযোগে ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় মামলটি দায়ের করেন আফিয়া ওভারসিজের স্বত্বাধিকারী আলতাব খান। মামলার এজাহারে বাদী আলতাব খান অভিযোগ করেন, জনশক্তি রপ্তানিতে দুই হাজারের বেশি রিক্রুটিং এজেন্ট থাকলেও মামলার আসামিরা মাফিয়া সিন্ডিকেট চক্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করে সংবিধানের মূলনীতি পরিপন্থী জঘন্য অপরাধ করেছেন। মালার আসামি সাবেক সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন সরকারি চাকুরিরত অবস্থায় নিজ মন্ত্রনালয়ের অধীনে নিজ পুত্রকে সিন্ডিকেট চক্রের সদস্য হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
আর সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ তার শ্যালকের ছেলেকে বিধিবর্হিভূতভাবে প্রবাসী নামক একটি অ্যাপস চালু করার অনুমোদন দিয়ে চক্রকে সহযোগিতা করেছে। বাদী আরও উল্লেখ করেন অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে ভয়ভীতি ও বলপ্রয়োগ করে মানবপাচারের উদ্দেশ্যে বাদীর কাছ থেকে জোর পূর্বক অতিরিক্ত চাঁদা হিসেবে প্রত্যেক প্রার্থীর বিপরীতে দেড় লাখ টাকা হারে ৮৪১ জনের ১২ কোটি ৫৬ লাখ এক হাজার টাকা আদায় করেছে। এছাড়া তারা সঙ্ঘবদ্ধভাবে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে আত্মসাৎ করেছে।
মামলায় সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, সাবেক সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, সাবেক সংসদ সদস্য ও এম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লে. জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (অব.), আহমেদ ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর ও সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ এবং ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর মো. রুহুল আমীন স্বপনসহ ১০৩ জনকে আসামি করা হয়।
এর আগে গতকাল (রোববার, ২০ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর বনানী থেকে ইমরান আহমেদকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। সিলেট-৪ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য হওয়া ইমরান ২০১৮ সালে প্রথমবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরের বছর তাকে এই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী করেছিলেন শেখ হাসিনা।