এসময় জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমিনসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জমাদান শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের কাছে দেয়া বক্তব্যে নিজেদের জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী বলে দাবি করেন প্রার্থীরা। তবে এরইমধ্যে দলীয় ও স্বতন্ত্র ব্যানারে মোট ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও পাঁচজন মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
সকাল ১১টায় বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জেলা প্রশাসকের হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেন। দুপুর ১২টায় জমা দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোখতার আহম্মদ। পৌনে একটায় জমা দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী পহেল চাকমা। ২টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জসিম উদ্দীন ও বিকেল ৪টায় গণঅধিকার পরিষদের মো. আবুল বাশার (বাদশা) মনোনয়নপত্র জমা দেন।
জমাদান শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ফটকে সাংবাদিকদের কাছে দেয়া বক্তব্যে নিজেদের জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী বলে দাবি করেন প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন:
এর আগে ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জুঁই চাকমা, গতকাল (রোববার, ২৮ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টির অশোক তালুকদার ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক পৃথকভাবে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
তবে দলীয় সিদ্ধান্তে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রিয় চাকমা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বাপ্পী চাকমা, কল্যাণ প্রিয় চাকমা, জাকের পার্টির আব্দুল হক মিয়া ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ানের স্ত্রী মৈত্রী চাকমা মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিশাথ শারমিন বলেন, ‘মোট ১৩ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তবে আজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আটজন জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে সাতজন রাজনৈতিক ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। আর বাকি পাঁচজন জমা দেননি।’
রাঙামাটি সদরসহ ১০টি উপজেলা, ৫০টি ইউনিয়ন এবং দুইটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত ২৯৯ নম্বর একমাত্র সংসদীয় আসনের মোট ভোটার পাঁচ লাখ এক হাজার ৯৫২ জন। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২১৩ এবং বুথের সংখ্যা ৯৯৩। গত নির্বাচনে ১৩৬টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ এবং দুর্গমতার কারণে ১৮টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়।





