প্রথমবার জকসু নির্বাচন; রাত পেরোলেই ভোট

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ | ছবি: এখন টিভি
0

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫ আগামীকাল (মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জকসু নির্বাচন। এতে মোট ৩৯টি কেন্দ্রে ১৭৮টি বুথে মোট ১৬ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরই মধ্যে বুথ স্থাপন শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।

সকালেই ভোট শুরুর আগে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার প্রেরণ করা হবে। ভোটগ্রহণ সকাল ৯টায় শুরু হয়ে বিকেল ৩টায় শেষ হবে। নির্বাচনে ডিজিটাল ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা করা হবে। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

কমিশন সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ৩৮টি এবং হল সংসদের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি ১০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একটি করে ভোটগ্রহণ বুথ থাকবে। ভোটগ্রহণ শেষে মেশিনের মাধ্যমে ভোট গণনা করা হবে।

এদিকে নির্বাচন উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করেছে প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা ছাড়াও গোয়েন্দা সদস্যদের উপস্থিত লক্ষ্য করা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের ভিক্টোরিয়া পার্কে পুলিশের কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে।’

সব মিলিয়ে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে প্রবেশসংক্রান্ত বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন-কেবল অনুমোদিত ব্যক্তি, ভোটার, শিক্ষক এবং নির্বাচন কাজে বিশেষভাবে অনুমোদিত ব্যক্তিরাই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। এজন্য নির্ধারিত পরিচয়পত্র বহন বাধ্যতামূলক। পরিচয়পত্র সংগ্রহের বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।

নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, এবারের জকসু নির্বাচনে পদভিত্তিক প্রার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। ভিপি পদে ১২ জন, জিএস পদে নয়জন, এজিএস পদে আটজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সম্পাদক, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে প্রত্যেকে সাতজন প্রার্থী রয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে পাঁচজন করে প্রার্থী লড়ছেন। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে আটজন করে, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে সাতজন, পরিবহন সম্পাদক পদে চারজন, সমাজসেবা ও শিক্ষার্থী কল্যাণ সম্পাদক পদে ১০ জন এবং পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাহী সদস্য পদে লড়ছেন ৫৭ জন প্রার্থী। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১৬ হাজার ৭২৫ জন।

এসএস