চাঁদপুর পৌর কর দ্বিগুণ বৃদ্ধি, নাগরিকদের ক্ষোভ

চাঁদপুরের একটি শহর | ছবি: এখন টিভি
0

চলতি অর্থ বছর প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে চাঁদপুর পৌরসভার আয়কর। কর বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছে পৌরবাসী। তাদের দাবি, বিনা নোটিশে পৌর কর বাড়ানো হলেও নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বাড়েনি খুব একটা। আর পৌর কর্তৃপক্ষের দাবি, আইন মেনে ন্যায্যভাবেই নির্ধারণ করা হয়েছে পৌর কর।

দুই লাখের বেশি মানুষের বসবাস ২৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের চাঁদপুর পৌরসভায়। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জনবসতি বাড়লেও, বাড়েনি নাগরিক সুবিধা। এর মাঝেই, চলতি অর্থ বছর পৌর কর বৃদ্ধির ফলে দিশেহারা বাসিন্দারা।

শহরের নাজিরপাড়া এলাকার কামাল হোসেন। বেসরকারি একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক এই প্রধান শিক্ষকের আয়ের প্রধান উৎস বাসা ভাড়া। গেল ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা পৌর কর পরিশোধ করলেও চলতি অর্থ বছরে তার পৌর কর বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ।

বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে ভাড়া বাড়িয়েছে। ট্যাক্সের এ বাড়তি টাকা দিতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’

আগে ওয়ার্ডভেদে সর্বনিম্ন ৩০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পৌরকর আদায় হলেও বর্তমানে তা সাড়ে ৫০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় ঠেকেছে। নাগরিক সুবিধা না বাড়িয়ে, কর বৃদ্ধির এ হারে তাই ক্ষুব্ধ শহরের বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন:

শহরের বাসিন্দারা জানান, শহরে কোনো সুযোগ সুবিধা নেই। পানির মধ্যে ময়লা থাকে। আবার অনেক সময় ঠিকমতো পানি আসে না। রাত হলে বিদ্যুৎ থাকে না। তারপরও ট্যাক্স বাড়ানো হচ্ছে।

তবে, পৌর প্রশাসক বলছেন, ন্যায্যভাবেই হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করা হচ্ছে। কিছু সংকট থাকলেও ভবিষ্যতে নাগরিক সেবা বৃদ্ধিতে তৎপর রয়েছে বলে জানান পৌর প্রশাসক।

চাঁদপুর পৌর প্রশাসক গোলাম জাকারিয়া বলেন, ‘কোনো কর বড়ানো হয়নি। কোনো কর বাড়েনি। হোল্ডিং ট্যাক্স অ্যাপ্লাই করতে গিয়ে হয়তো কারও কর বেড়েছে, আবার অনেকের কমেছেও। আমি দেখলাম আমাদের চাঁদপুরে সমতার বিধান হচ্ছে। যার যেভাবে কর নির্ধারণ করার কথা সেভাবেই করা হয়েছে।’

পৌর কর্তৃপক্ষের তথ্য বলছে, চাঁদপুর পৌরসভায় বেসরকারি ও সরকারি হোল্ডিং থেকে গেল ২০২৪ -২৫ অর্থ বছরে ৮ কোটি টাকা আয় হলেও চলতি ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি টাকায়।

এফএস