গ্যাস সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী কর্ম দিবস উপলক্ষে নৌবহর অনুষ্ঠিত

গ্যাস সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী কর্মদিবসের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে নৌবহর আয়োজিত
গ্যাস সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী কর্মদিবসের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে নৌবহর আয়োজিত | ছবি: সংগৃহীত
0

বিশ্বব্যাপী জ্বালানি চাহিদা দ্রুত বাড়তে থাকলেও, গ্যাসকে ‘পরিচ্ছন্ন’ বিকল্প হিসেবে প্রচার করা গ্লোবাল সাউথের জন্য মারাত্মক হুমকি— এমন বিবেচনায় গ্যাস সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী কর্মদিবস আয়োজন করা হয়েছে। আজ (বুধবার, ১৯ নভেম্বর) দেশের ৯টি নদীতে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এ উপলক্ষে নৌবহরের আয়োজন করে।

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী, মংলার পশুর নদী, বরগুনার বুড়িশ্বর নদী, তালতলীর পায়রা নদী, পাথরঘাটার বিষখালী নদী, কলাপাড়ার আন্দারমানিক নদী, কুতুবদিয়া সাগর চ্যানেল, পেকুয়ায় বঙ্গোপসাগরের মগনামা কুতুবদিয়া চ্যানেল ও হবিগঞ্জে খোয়াই নদীতে নৌবহরের মাধ্যমে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও স্লোগানে ভরে ওঠা এসব নৌবহরে জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবি, জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতার বিরুদ্ধে অবস্থান এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির পক্ষে বার্তা তুলে ধরা হয়।

আরও পড়ুন:

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্যাস সম্প্রসারণ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, প্যারিস চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে আসার সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ, সিওপি৩০ (COP30) ও জি২০ (G20) ঘোষণায় ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি অঙ্গীভূত করাসহ নানা দাবি নিয়ে ‘দক্ষিণে গ্যাস দেবেন না’ বার্তা সম্বলিত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে কর্মসূচি পালন করা হয় এবং এর মূল বার্তা তুলে ধরা হয়।

এছাড়া আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও এশিয়ায় বর্তমানে ৭৬৮টি নতুন গ্যাস প্ল্যান্ট, ১৫৩টি এলএনজি টার্মিনাল, ৩০০টি পাইপলাইন প্রকল্প এবং শত শত গ্যাসক্ষেত্র উন্নয়নাধীন, যা জলবায়ু সংকটকে আরও তীব্র করে তুলছে বলেও এ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

জানানো হয়, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র ৮৮ মিলিয়ন টনের বেশি এলএনজি রপ্তানি করেছে, যা বৈশ্বিক নির্ভরশীলতা আরও বাড়িয়ে তুলছে। এদিকে পরিকল্পিত গ্যাস অবকাঠামো এরই মধ্যে ২০৪০ সাল পর্যন্ত প্রয়োজনীয়তার সীমা ছাড়িয়ে গেছে, যা প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যমাত্রাকে বিপর্যস্ত করার শঙ্কা তৈরি করেছে।

এসএইচ