রাঙামাটিতে কাল থেকে ৩৬ ঘণ্টার হরতাল

জরুরি সংবাদ সম্মেলন
জরুরি সংবাদ সম্মেলন | ছবি: এখন টিভি
1

রাঙামাটি জেলা পরিষদের নিয়োগে কোটা বৈষম্যের প্রতিবাদে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩৬ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে কোটাবিরোধী ঐক্যজোট, সাধারণ শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকরা। আজ (বুধবার, ১৯ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় রাঙামাটি শহরের বনরূপায় একটি রেস্তোরাঁয় জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলন ইব্রাহিম রুবেল হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা দেন। হরতালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জরুরি সেবা ও সংবাদপত্র, পচনশীল পণ্য পরিবহন হরতালের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানানো হয়।

এছাড়া কর্মসূচির যৌক্তিকতা তুলে ধরে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতা মো. রাকিব হাসান ও রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নুরুল আলম।

আন্দোলনের মুখে স্থগিত করে জেলা পরিষদের অধীনে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ আগামী ২১ নভেম্বর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ পরীক্ষাকে সামনে রেখে নানা অসঙ্গতি আর অনিয়মের অভিযোগ তুলে পরীক্ষা বন্ধে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে আন্দোলনকারীরা।

আরও পড়ুন:

সবশেষ গতকাল (মঙ্গলবার , ১৮ নভেম্বর) জেলা পরিষদের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আট দফা দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি ও ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু জেলা পরিষদ থেকে কোনো পদক্ষেপ না আসায় আজ এ হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে সংগঠনটি।

‎শিক্ষার্থীদের আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে— ৯৩ শতাংশ মেধা ও সাত শতাংশ কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ নিশ্চিত করা। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন। প্রশ্নপত্র তৈরি পরবর্তী সময়ে জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে সরকারি ট্রেজারিতে সংরক্ষণ। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা। নিয়োগ পরীক্ষার আগে উপজেলা কোটা পৃথক প্রজ্ঞাপনে প্রকাশ। নিয়োগ পরবর্তী সময় প্রার্থীদের রোল নম্বর, নাম ও ঠিকানা প্রকাশ বাধ্যতামূলক করা। ফলাফলে বাঙালি ও তফসিলভুক্ত উপজাতীয় জনগোষ্ঠী দুই তালিকা আলাদাভাবে প্রকাশ ও উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ১৯৮৯ সালের জেলা পরিষদ আইনে উপজাতীয় অগ্রাধিকার নীতি মানা হচ্ছে কি না এ বিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা প্রদান।

এসএস