তবে এখন এই এলাকায় চলছে অভূতপূর্ব পুনরুদ্ধার প্রকল্প। ১ লাখ ১৬ হাজার ৯০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে খননযন্ত্রের গর্জন, বুলডোজারের চলাচল সবই জানান দিচ্ছে নতুন এক ভবিষ্যতের। ২০২৪ সালে লুওহু প্রশাসন এটিকে অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে ঘোষণা করে। প্রায় ২১৭ কোটি ইউয়ান ব্যয়ে শুরু হয় চীনের অন্যতম বৃহৎ পরিবেশ পুনরুদ্ধার অভিযান।
আরও পড়ুন:
লুওহুর নগর ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক ইয়ে বিন জানান, এখানে গন্ধ ও ধুলো নিয়ন্ত্রণে চীনের সবচেয়ে বড় ক্যানোপি সিস্টেম বসানো হয়েছে এবং বর্জ্য স্থিতিশীল করতে র্যাপিড অ্যারোবিক প্রিট্রিটমেন্ট টেকনোলজি ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ৬ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য খনন ও ছাঁকনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৫ হাজার টন আবর্জনা সরানো হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পুনর্ব্যবহারের উপযুক্ত অংশ আলাদা রাখা হচ্ছে, বাকি অংশ পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে।
তবে প্রকল্পের মূল লক্ষ্য কেবল পরিবেশ পুনরুদ্ধার নয়। পুনরুদ্ধারের পর প্রায় ৩ লাখ বর্গমিটার জায়গা মুক্ত হবে, যেখানে গড়ে উঠবে ‘ডিজিটাল ইনোভেশন ভ্যালি’। এই শিল্পাঞ্চলে থাকবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, হেলথ টেকনোলজি এবং ডিজিটাল অর্থনীতি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান।
শেনচেনের এই রূপান্তর প্রমাণ করছে, শহর পরিকল্পনা ও প্রযুক্তিকে একত্রিত করে কীভাবে পরিবেশ ও অর্থনীতিকে একসাথে উন্নত করা যায়।





