বছরের নয় মাসে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৫৩ শতাংশ। ২০২৪ সালের একই সময়ে এ হার ছিল প্রায় অর্ধেক, ২৭ শতাংশ।
এমন পরিস্থিতিতেই বুধবার ফের রেকর্ড স্পর্শ করলো স্বর্ণের দাম। ইতিহাসে প্রথমবার আউন্স প্রতি চার হাজার ডলারের মাইলফলক পার করলো সোনালী ধাতু। বিশ্ববাজারে স্পট গোল্ড, অর্থাৎ তাৎক্ষণিক সরবরাহ যোগ্য স্বর্ণের দাম এক শতাংশের বেশি বেড়ে চার হাজার ৩২ ডলার ছাড়িয়েছে। ডিসেম্বরে সরবরাহ যোগ্য স্বর্ণের দাম প্রায় চার হাজার ৫৫ ডলার।
স্বর্ণের ঊর্ধ্বগতির কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, মজুত বৃদ্ধির লক্ষ্যে শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বর্ণ কেনার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া; স্বর্ণ কেন্দ্রিক বিনিময় লেনদেন তহবিল বা ইটিএফের চাহিদা বৃদ্ধি; মুদ্রা বাজারে ডলারের দরপতন; সারা বিশ্বে বাণিজ্যিক ও ভূরাজনৈতিক টানাপড়েন বাড়তে থাকায় নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যমের প্রতি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আগ্রহ ইত্যাদি।
আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট পয়েন্ট গোল্ডের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কুয়েন্তিন মাই বলেন, ‘বেশ কিছু কারণেই স্বর্ণের দাম বেড়ে চলেছে। সবশেষ যেটা উল্লেখযোগ্য কারণ, সুদের হার-শুল্ক ইত্যাদির প্রভাব আর মার্কিন ডলারের ঢালাও দরপতন। গত ছয় থেকে নয় মাসে সারা বিশ্বের বিভিন্ন মুদ্রার বিপরীতে ডলার কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ শতাংশ দর হারিয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের হাই ইয়েল্ড ইকোনমিক্সের অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল অল্টম্যান বলেন, ‘স্বর্ণের দাম বাড়ছে কারণ বিনিয়োগকারীরা মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ খুঁজছেন। তারা বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর বিশাল ঋণের অঙ্ক নিয়ে চিন্তিত, প্রধান মুদ্রাগুলোর অবমূল্যায়নের শঙ্কা দেখছেন। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির ফলে সেসব মুদ্রার অবমূল্যায়ন হলে বিনিয়োগকারীদের একটি নিরাপদ আশ্রয়ের প্রয়োজন। স্বর্ণ একটি সম্ভাব্য নিরাপদ আশ্রয়।’
শুধু স্বর্ণ নয়, অস্থির এ সময়ে বিশ্ববাজারে ঊর্ধ্বমুখী অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর দামও। রূপার দাম এক দশমিক ছয় শতাংশ বেড়ে আউন্স প্রতি প্রায় ৪৯ ডলার, একই হারে বেড়ে প্লাটিনামের দামি প্রতি আউন্স ১৬৪৪ ডলারের বেশি এবং তিন শতাংশের বেশি বেড়ে প্যালাডিয়ামের দাম পৌঁছেছে ১৩৭৯ ডলারে।





