খেলাধুলায় তার শুরুটা ছিল বাস্কেটবল দিয়ে। পরবর্তীতে বার্সেলোনার লা মাসিয়া একাডেমি দিয়ে শুরু, এরপর সাফল্যের আলিঙ্গনে ছুটে চলেছেন স্পেন ও বার্সেলোনার জার্সিতে।
ইতিহাসে যা কখনো হয়নি তাই প্রথমবার করে দেখালেন আইতানা বোনমাতি। গেলো মৌসুমে ইউরোর আগে মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হয়ে ছিলেন হাসপাতালের বেডে। তবে সুস্থ হয়ে ফিরে গড়লেন ইতিহাস।
টানা তৃতীয়বার ব্যালন ডি’অর জয়ের কীর্তিতে ছুলেন মিশেল প্লাতিনি ও লিওনেল মেসিকে। সাম্প্রতিক সময়ে ফুটবলে গড়লেন ধারাবাহিকতার এক অনন্য রেকর্ড।
সর্বগুন সম্পন্ন এ নারী ফুটবলার জিতেছেন লা লিগা, কোপা ডেল রে ও সুপার কোপার শিরোপা। যদিও ভাগ্যে জোটেনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা।
আরও পড়ুন:
তবে দুই প্রতিযোগিতাতেই নিজের দ্যুতি ছড়িয়েছেন তিনি, হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়।
ট্রফি হাতে নিয়ে বোনমাতির কণ্ঠে ছিল আবেগ। তিনি বলেন, ‘এই মঞ্চ আমাকে ভীত করে তোলে, যদি পারতাম এ পুরস্কার সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতাম।’
নিজের সব ফুটবল সাফল্যের পেছনে বিশেষভাবে স্মরণ করেছেন জাভি হার্নান্দেজ ও আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাকে। পুরুষ দলের মতো সমান ভাবে নারীদের পুরস্কার দেয়াকে বড় করে দেখলেন তিনি। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও নিজের আশার কথা জানান তিনি।
তাইতো নারী ফুটবলে টানা তিনবার ব্যালন ডি’অর বিজয়ী হলেন বোনমাতি। পেছনে ফেলেছেন আর্সেনালের মারিওনা ক্যালদেন্তে ও এলিসা রুসোকে।
সব বাধা পেরিয়ে, সব জল্পনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জিতলেন প্রেস্টিজিয়াস এই পুরস্কার।





