ইরানে যৌথ হামলার পরিকল্পনা থাকলেও তাড়াহুড়ো নয়: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প | ছবি: সংগৃহীত
0

ইরানে যৌথ হামলার পরিকল্পনা বাতিল না হলেও এ বিষয়ে তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, ইরানকে সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান তিনি। তবে ওয়াশিংটন-তেহরান কূটনীতিতে উপেক্ষিত গাজায় হত্যাযজ্ঞ বন্ধের প্রসঙ্গ। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল থেকে উপত্যকাটিতে নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন আরও অন্তত অর্ধশত ফিলিস্তিনি। এদিকে হামাস সকল জিম্মি বিনিময়ে সম্মত হলেও পূর্ণাঙ্গ বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছে তেল আবিব।

ইরানে যৌথ হামলা চালাতে নেতানিয়াহুর পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করে হইচই ফেলে দেয় দ্যা নিউইয়র্ক টাইমস। মার্কিন গণমাধ্যমটির দাবি ছিল, হামলার সিদ্ধান্তে দুইভাগে বিভক্ত মার্কিন প্রশাসনকে এক সুতোয় গাঁথতে তেহরানের সঙ্গে কূটনীতির ওপর জোর দিচ্ছেন ট্রাম্প।

তবে এর একদিন না যেতেই ভিন্ন সুরে কথা বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার দাবি, হামলার পরিকল্পনা বাতিল হয়নি। বরং সমঝোতার জন্য ইরানকে সুযোগ দেয়া হচ্ছে। তিনি ইরানের সমৃদ্ধি চান বলেও মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তিনি বলেন, 'বাতিল হয়নি। তবে আমি তাড়াহুড়া করতে চাই না। কারণ শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার সম্ভাবনা রয়েছে ইরানের। আমার মনে হয় তারা আলোচনা চায়। এটা তাদের জন্য ভালো হবে। আমি চাই ভবিষ্যতে ইরান সমৃদ্ধি অর্জন করুক।'

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের কূটনীতি চললেও গাজায় হত্যাযজ্ঞের বিষয়ে এখনও নিশ্চুপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। বৃহস্পতিবার উপত্যকা জুড়ে দিনভর হামলায় হতাহতের সংখ্যা অর্ধশত ছাড়িয়েছে। যার মধ্যে নিহত ১৫ জনের আবাসস্থল ছিল তাঁবুতে। দেড় মাসের বেশি সময় ধরে উপত্যকাটিতে ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ থাকায় তীব্র হচ্ছে মানবিক সংকট। ১২টি প্রধান সহায়তা সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন, গাজায় মানবিক সহায়তা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছে।

হামাসের গাজা শাখার প্রধান খালিল আল হায়া জানান, ইসরাইলি সকল জিম্মিকে মুক্তির আলোচনায় সম্মত স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি। এর বদলে নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তির পাশাপাশি উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার ও যুদ্ধ শেষ করার শর্ত দেয়া হয়েছে ইসরাইলকে।

হামাসের গাজা শাখার প্রধান খালিল আল হায়া বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি কারাবন্দির বিনিময়ে সকল জিম্মিকে মুক্তির আলোচনায় রাজি আছি। তবে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের যুদ্ধ শেষ করতে হবে। উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের পাশাপাশি গাজা পুনর্গঠনের কাজ শুরু করতে হবে।’

তবে গাজায় পুরোপুরি বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরাইলি অর্থমন্ত্রী। অন্যদিকে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী জানান, হামাসের সঙ্গে অস্ত্রবিরতির কোনো চুক্তি হবে না। একইসঙ্গে, উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি।

এদিকে ইহুদিদের পাসওভার উৎসবের ৫ম দিনে আল আকসা মসজিদ কম্পাউন্ডে ঢুকে পড়েন কয়েক হাজার ইসরাইলি। ঐতিহাসিক বাব আল রাহমা কবরস্থানের পাশে শুরু করেন ধর্মীয় রীতি তালমুদিক। ১৪শ' বছর ধরে এই কবরস্থানটি মুসলিমদের ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে স্বীকৃত।

এসএস