দেশ ছেড়ে পালানোর কোনো ইচ্ছেই ছিল না আসাদের
দেশ ছেড়ে পালানোর কোনো ইচ্ছেই ছিল না সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের। নিজের ও পরিবারের ৫৩ বছরের স্বৈরশাসনের পতনের পর আপাতদৃষ্টিতে প্রথম বিবৃতিতে এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। পতনের জন্য দায়ী করেন সেনাবাহিনীকে। এদিকে দামেস্কের গণকবরে আসাদ বাহিনীর হাতে নিহত এক লাখের বেশি মানুষের দেহাবশেষ রয়েছে, বলছে পর্যবেক্ষক সংস্থা।
'প্রতিবেশিদের যৌথ চক্রান্তের ফল আসাদ সরকারের পতন'
যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল এবং সিরিয়ার প্রতিবেশিদের যৌথ চক্রান্তের ফল, বাশার আল-আসাদের পতন বলে মন্তব্য করলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তেহরানের কাছে এটির প্রমাণ আছে উল্লেখ করে, অঞ্চলটিতে কিছুতেই যুক্তরাষ্ট্রের ভিত গাড়ার পরিকল্পনা সফল হতে দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেছেন তিনি। এখন ইসরাইলি আগ্রাসনে সিরিয়া আরও বেশি অস্থিতিশীল হওয়ার শঙ্কা ক্ষমতাচ্যুত আসাদের আরেক মিত্র রাশিয়ার।
নেতানিয়াহুর অভিযোগ: ক্যুর মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুতির চেষ্টা করছে বিরোধীরা
দুর্নীতি, ঘুষ গ্রহণ ও বিশ্বাসভঙ্গের তিনটি মামলায় সাক্ষ্য দিতে প্রথমবারের মতো আদালতে উপস্থিত হলেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, ক্যু এর মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। এদিকে সাক্ষ্য গ্রহণের সময় জাফা ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের সামনে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করে সরকারপন্থি ও সরকার বিরোধীরা।
দুর্নীতির মামলায় আদালতে নেতানিয়াহু
দুর্নীতির মামলায় সাক্ষ্য দিতে প্রথমবারের মতো আদালতে উপস্থিত হলেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও প্রতারণার আলাদা তিনটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এসব মামলায় অভিযুক্ত হলে নেতানিয়াহুর কমপক্ষে ১০ বছরের জেল হতে পারে। যদিও নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছেন তিনি।
রাশিয়া-ইরান দুর্বল হয়ে পড়ার কারণেই সিরিয়ায় আসাদের পতন
রাশিয়া-ইরান দুর্বল হয়ে পড়ার কারণেই সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের পতন- যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবিতে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সিরিয়ায় থাকা ইরানি রাষ্ট্রদূত। বাশার আল-আসাদকে উৎখাতে মার্কিন মিত্র ইসরাইল বিদ্রোহীদের অস্ত্র দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এ অবস্থায় সিরিয়া সরকার পিছু হটায় মিত্রদের পক্ষ থেকে জোরালো ভূমিকা পালন করা সম্ভব হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।
দেশে দেশে চলছে সাড়ম্বরে বড়দিন উদযাপনের প্রস্তুতি
আমেরিকা থেকে ইউরোপ। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব- বড়দিনের প্রস্তুতি চলছে দেশে দেশে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, যুদ্ধ, সংঘাত- সবকিছু সাথে নিয়েই জমকালো সাজে সেজে উঠছে শহরের পর শহর। আদ্যিকালের স্লেজ ছেড়ে হার্লি ডেভিডসনে মজছেন স্যান্টা ক্লজরা।
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিতে আশাবাদী ইসরাইলি-ফিলিস্তিনিরা দু’পক্ষই
ট্রাম্পের কাছেই সমাধান চাইছেন ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিরা। জিম্মিদের মুক্তি ও যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিতে দুই পক্ষই আশাবাদী। এদিকে যুদ্ধবিপর্যস্ত মানুষের সহায়তায় ২০২৫ সালে জাতিসংঘের রেকর্ড চার হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের বাজেট প্রয়োজন। ট্রাম্পের অধীনে এই অর্থ সংস্থান নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। ট্রাম্পের কড়া অভিবাসন নীতি নিয়েও ভয়ে আছেন বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা। এছড়া ট্রাম্পের অভিযোগ, ছেলেকে ক্ষমা করে মার্কিন বিচার বিভাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন বাইডেন।
প্রতিরক্ষা খাতে পুতিনের রেকর্ড অর্থ বরাদ্দের পরিকল্পনা
যুদ্ধের ময়দানে এগিয়ে থাকতে আগামী বছর প্রতিরক্ষা খাতে রেকর্ড অর্থ বরাদ্দ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যদিও সামরিক খাতে অতিরিক্ত ব্যয়ের প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতির ভীতগুলোতে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদলে সামরিক সহায়তা নিয়ে শঙ্কায় পড়ে গেছে ইউক্রেন। রাশিয়া কুরস্কের অনেকখানি পুনর্দখলের পাশাপাশি অন্যান্য এলাকা দখলের দাবি করায় ন্যাটোতে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সংশয় দূর করতে বলছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি।
২০২৪ সালে বেড়েছে অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ
এশিয়া মহাদেশে অস্থিতিশীলতা আর বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ সংঘাতের কারণে গেলো বছর বিশ্বব্যাপী বেড়ে গেছে অস্ত্রের বিক্রি। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ সেন্টার সিপ্রি বলছে, ২০২৩ সালে শীর্ষ একশ' অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের বিক্রি ৬৩ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছেছে। এমনকি গেলো বছর প্রতিটা শীর্ষ অস্ত্র প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের বিক্রি একশ' ডলারের ওপরে ছিল। ২০২৪ সালে অস্ত্র বিক্রি বছর ব্যবধানে আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছে সিপ্রি।
মাঝপথে থমকে যাবে ইসরাইল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতি!
ইসরাইল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও এর স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে উভয়পক্ষ যখন একে অপরের বিরুদ্ধে শর্ত ভঙ্গের আনছে তখন বিশ্বাসযোগ্যতার ঘাটতিকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন তারা। এছাড়া ইসরাইল বা হিজবুল্লাহ যদি মনে করে, এই যুদ্ধবিরতিতে তাদের স্বার্থরক্ষা হচ্ছে না, তাহলেও মাঝপথে থমকে যাবে এই সাময়িক যুদ্ধবিরতি- এমন আভাসও দিচ্ছেন অনেকে।
ইউক্রেনে সেনা সক্ষমতা বাড়াতে উঠেপড়ে লেগেছে পুতিন প্রশাসন
রুশ ভূখণ্ডে পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর থেকে ইউক্রেনজুড়ে অব্যাহত রয়েছে ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্রের বৃষ্টি। ইউক্রেনের বিভিন্ন অস্ত্রের গুদাম, সামরিক ঘাঁটি ও বিমানবন্দর লক্ষ্য করে হামলা চালানোর পাশাপাশি ভূপাতিত করা হচ্ছে পশ্চিমা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী বলছে, এতো আগ্রাসনে হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে রাশিয়ার কুরস্ক। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের আশঙ্কা, জানুয়ারিতেই কুরস্ক থেকে সেনা সদস্যদের বিতাড়িত করে পুরো দনবাস দখলে নেবেন পুতিন। এদিকে সেনা সক্ষমতা বাড়াতে উঠে পড়ে লেগেছে পুতিন প্রশাসন।
যুদ্ধের হাজারতম দিনে বিক্ষোভ করেছে ইউক্রেনের বাসিন্দারা
ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের ১ হাজার তম দিন উপলক্ষে বিক্ষোভ র্যালি বের করে ইউক্রেনের বাসিন্দারা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাত হিসেবে বিবেচনা করা হয় এই যুদ্ধকে।