যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাঙালি পাড়ার বাসিন্দা সাদেকুর রহমান। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম কীভাবে তর তর করে বেড়েছে তার চাক্ষুষ সাক্ষী তিনি। যার কারণে পরিবার নিয়ে জীবনযুদ্ধের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয় তাকে। এ অবস্থায় তার অভিযোগ, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধসহ নানা ইস্যুতে ডেমোক্র্যাট নেতা যে পরিমাণ মাথা ঘামিয়েছেন, সে তুলনায় দেশের মানুষ নিয়ে তার ভাবনা ছিল খুবই সামান্য।
সাদেকুর রহমান বলেন, 'আয়ের সাথে ব্যয় তো এখন বাড়তি বর্তমানে। ট্রাম্প আসার পর দেখা যাক কী হয়। আমি আশা করবো যে উনি মানুষের ইনকাম অনুযায়ী জিনিসপত্রের দাম নাগালের মধ্যে রাখার চেষ্টা করবে।'
সাদেকুর রহমান ছাড়াও এমন কঠিন বাস্তবতার কবলে পড়তে হয় বহু বাংলাদেশি অভিবাসীকে। প্রত্যেকেই স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরতে মরিয়া। তবে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউজের অধিপতি হতে যাওয়া রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভরসা করা যায় কি-না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় সোমবার (২০ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় শপথের আগে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে-বিপক্ষে হয়েছে সমাবেশ ও বিক্ষোভ। এরইমধ্যেই ট্রাম্প ভক্তরা অবস্থান করছেন ওয়াশিংটন ডিসিতে। পুরো অঞ্চলে প্রায় ৯০ শতাংশ হোটেলই বুকড। ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের আয়োজন ঘিরে মানুষের ভিড় বাড়ায় হোটেল কক্ষগুলোর দামও চড়া।
নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প দু'বার হামলার কবলে পড়ায় শপথ গ্রহণ আয়োজন ঘিরে থাকছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এর অংশ হিসেবে ৪৮ কিলোমিটার এলাকায় থাকছে সাত ফুট উঁচু নিরাপত্তা প্রাচীর। চেকপয়েন্ট ও তার আশপাশে থাকছেন ২৫ হাজার বিশেষ কর্মী। পাশাপাশি মোতায়েন থাকছে প্রায় আট হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য। এছাড়াও, নিরাপত্তা রক্ষার বিশেষ দায়িত্বে আছেন চার হাজার পুলিশ কর্মকর্তা।
মার্কিন রীতি অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দেশটির সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। ক্যাপিটাল ভবনে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। এর আগে, ট্রাম্প যখন নিজের প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন তখনও শপথ পাঠ করান তিনি। তীব্র শীতে এবার অনুষ্ঠান ক্যাপিটাল ভবনের ভেতরে করায় কমানো হয়েছে আমন্ত্রিত অতিথি সংখ্যা।