বিশ্বের ১৬৫ টি দেশে প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মরত আছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতি, রিজার্ভ শক্তিশালী,আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
এই গতিকে ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশের অভিবাসন খাতে সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে ২০১৫ সালে দেশে প্রথমবারের মতো মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তন করে ব্র্যাক।
আজ (রোববার, ১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ডেইলি স্টার সেন্টারে নবম মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড শীর্ষক আলোচনা ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন দেশি ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ও জুরি বোর্ডের সদস্যরা।
অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম বলেন, ‘প্রবাসী আয় দেশে আসে, পোশাক খাতে প্রণোদনা দেওয়া হয় সরকারের তরফ থেকে কিন্তু প্রবাসীদের জন্য তেমন উদ্যোগ দেখা যায় না।’
আমাদের মনে রাখতে হবে প্রবাসী আয় আমাদের আরো একটি আয়ের উৎস, যা অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে বলেও জানান তিনি।
একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশের সাথে আমরা কাজ করছি, আমরা গর্বিত। এ দেশের মানুষ বর্ডার পার হয়ে অভিবাসনে যুক্ত হয় উন্নত জীবন ও পরিবার কে ভালো রাখার জন্য। তবে আমরা নিরাপদ অভিবাসন আশা করি।’
তিনি জানান, সরকারের উচিত মানবপাচার রোধে কাজ করা। আর সেক্ষেত্রে সরকার, সমাজ, গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
অনুষ্ঠান শেষে অভিবাসন বিষয়ে জনসচেতনতা ও অভিবাসীদের অধিকার রক্ষায় ডকুমেন্টারি প্রচার করা হয়।সাংবাদিকদের পাওয়া প্রতিবেদনগুলো প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকতার শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি জুরিবোর্ড মূল্যায়ন করে। পরে ৬ ক্যাটাগরিতে ১৬ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।