সরকারের রাজস্ব আয়ে অন্যতম সিলেটের ব্যস্ততম তামাবিল স্থলবন্দর। কিন্তু গত ১৬ দিন ধরে নেই কোনো ব্যস্ততা।
খালাস জটিলতায় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা বন্ধ রেখেছেন পাথর আমদানি। ব্যবসায়ীরা বলছেন সিলেটের তামাবিল ও শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে যে পাথর আমদানি করা হয়, তা সরাসরি মাইন থেকে গাড়িতে লোড হয়ে চলে আসে। এ কারণে পাথরের সাথে মাটি ও বালি মিশ্রিত থাকে।
কিন্তু বর্তমানে স্থলবন্দরের কর্মকর্তারা মাটি ও বালির ওজন ছাড় দিতে চাচ্ছেন না। এ নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে আমদানিকারকদের টানাপড়েনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সবাই।
পাথর আমদানিকারক ইলিয়াস উদ্দিন লিপু বলেন, ‘আমরা দেখেছি আমাদের একটা গাড়িতে ১ টনের মতো পাথরের সাথে অপ্রয়োজনীয় পদার্থ চলে আসে। আমাদের দাবি সবসময় বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে এই যে কাদামাটি আছে তা মাইনাস করে স্কেলে দিতে।’
যদিও বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, কয়লা-পাথর আমদানি বন্ধ থাকলেও অন্যান্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। তবে পাথর আমদানির বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
সিলেট তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কাঁদা-বালি এইসবের একটা ছাড় পেতেন তারা। এখন হয়ত পাচ্ছেন না তাই তারা হয়ত ব্যবসা বন্ধ রেখে গিয়েছেন। এইগুলা আমাদের বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যে নির্দেশনা দেই তা মেনেই আমরা কাজ করি।’
সিলেটের তামাবিল ও শ্যাওলা স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ কোটি টাকার পাথর আদানি বন্ধ থাকায় সরকার দৈনিক অন্তত দেড় কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি বঞ্চিত হচ্ছে বিশাল অঙ্কের মাশুল চার্জ থেকেও।