সকালে কামরুল ইসলামকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে শুনানি শেষে ৮ দিনের রিমান্ড দেন আদালত।
এর আগে গতকাল (সোমবার, ১৮ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে ঢাকা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গণহত্যার মামলার আসামি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ডজন খানেকেরও বেশি মামলা রয়েছে ।
কামরুল ইসলাম ১৯৬৯ সালে ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে ৬ দফা ও ১১ দফা ভিত্তিক গণ-আন্দোলনে অংশ নেন। তিনি ২০০৮ সাধারণ নির্বাচনে ঢাকা-২ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন এবং নির্বাচনে জয়ী হয়ে হন।
২০১৪ সালে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনরায় সংসদ সদস্য হন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে গেলে পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙ্গে দিলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।
এছাড়া দুদক সূত্রে জানা যায়, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আইন প্রতিমন্ত্রী এবং ঢাকা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. কামরুল ইসলাম নিজের এবং তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন। আইন প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে নিম্ন আদালতের বেশিরভাগ কর্মচারি নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে তিনি কোটি কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছেন।
খাদ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় দুর্নীতির মাধ্যমে ব্রাজিল থেকে নিম্নমানের গম ক্রয় করে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি।