২০২২ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হওয়ায় কাতারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে দম ফেলার ফুরসত ছিলো না প্রবাসী নির্মাণ শ্রমিকদের। ফুটবল বিশ্বকাপ শেষে আরও ২২ টি নতুন প্রকল্প চালু করার কথা কাতার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের। কিন্তু অজানা কারণে প্রকল্পগুলোর কাজ চলছে ধীরগতিতে।
এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন বহু প্রবাসী শ্রমিক। তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশিরাও। কাজ কমে যাওয়ায় উপার্জনে ভাটা পড়েছে। কর্মহীন অবস্থায় মানবেতর দিন কাটছে ফ্রি ভিসায় যাত্রা করা অনেক রেমিট্যান্স যোদ্ধার। তাই কাজ শিখে নির্দিষ্ট ভিসায় প্রবাসের পথে পা বাড়ানোর পরামর্শ ভুক্তভোগীদের।
বর্তমানে কাতারের শ্রমবাজার হতাশাজনক হওয়ায়, যাচাই-বাছাই করে বাংলাদেশিদের প্রবাসে আসার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।
কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতারণা থেকে আপনাদের সতর্ক করার জন্য বার বার আমরা আপনাদেরকে বলছি। বর্তমানে কাতারে কাজ তেমন নেই বললেই চলে। তারপরেও কেউ যদি কোনো কোম্পানির চুক্তিতে সাইন করে আসেন তাহলে আগে সেটি ভালোভাবে দেখে নিবেন। কেননা সাইন করে আসার পর দূতাবাসে অভিযোগ করলে আমাদের কিছু করার থাকে না।’
কাতার সরকারের ‘ভিশন টুয়েন্টি থার্টি’ বাস্তবায়নে আগামী ছয় বছর দেশটির নানা উন্নয়ন কাজ চলমান থাকার কথা রয়েছে। দেশটির বিভিন্ন স্থাপনা ও ইমারতে রয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাতের ছোঁয়া। সব মিলিয়ে বর্তমানে কাতারে চার লাখের মতো প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছেন। দেশটি থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বার্ষিক রেমিট্যান্স পাঠায় প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার।