বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের বিজয় দিবসের সুবাস। যথাযোগ্য মর্যাদায় কাতারে পালিত হয়েছে ৫৪তম বিজয় দিবস। স্থানীয় সময় ১৬ ডিসেম্বর সকালে দোহা আল হেলাল বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয় দিনব্যাপী আয়োজন।
এরপর কাতারে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এসময় বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের কর্মী ও বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা।
দেশ সৌদি আরবে পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। দূতাবাস কর্মকর্তা ছাড়াও এতে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
বাংলাদেশ দূতাবাস অডিটরিয়ামে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের জন্য প্রার্থনা করা হয়। পাশাপাশি আলোচনা করা হয় বিজয় দিবসের তাৎপর্য নিয়ে।
সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স এস এম রাকিবউল্যা বলেন, 'এই পতাকার ভার আমরা নিতে পারবো না। নিতে পারছি না। পরবর্তী জেনারেশন যারা তাদের হাতে দিয়ে গেলাম। এই পতাকাটাকে তুলে রাখতে হবে। এই বিজয়টা আমাদের না। এই বিজয়টা আমার সন্তানদের।'
রোম দূতাবাসের আয়োজনে ইতালিতে পালিত হয় মহান বিজয় দিবস। রাষ্ট্রদূত এটিএম রকিবুল হক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু করেন উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা।
দ্বিতীয় পর্বে দূতাবাসে প্রবাসীদের সঙ্গে চলে আলোচনা সভা। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিতে আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত। আলোচনা শেষে প্রবাসীদের অংশগ্রহণে হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত এটিএম রকিবুল হক বলেন, 'যে যেখানে যে অবস্থাতেই আছে সবাই মিলে কাজ করে আমরা আমাদের অর্থনৈতিক বিজয়, আমাদের গণতন্ত্রের বিজয় এবং একটি বৈষম্যহীন সুশাসিত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আমরা সর্বাত্মক কাজ করবো।'
মালয়েশিয়াতেও বাংলাদেশের ছড়িয়েছে বিজয়ের সুবাস। হাইকমিশনের উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ছিল প্রবাসীদের কণ্ঠে ।