দরজায় কড়া নাড়ছে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। ২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জায় ঝলমল করছে পুণ্যভূমি ভ্যাটিকান সিটি ও ইতালির রোম নগরী।
ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে দর্শকদের নজর কাড়ছে ২শ বছরের পুরানো ৩০ মিটার-উচ্চতার ক্রিসমাস ট্রির আলো। সেইসঙ্গে কারুকার্জের মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তোলা যিশুর জন্মস্থান নেটিভিটি, জন্মলগ্ন ও শিশুকালের দৃশ্য দেখতেও ভিড় করছেন পর্যটকরা। ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের পূণ্যভূমির এই মনোমুগ্ধকর আয়োজন থাকবে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এদিকে বড়দিন ঘিরে ইতালির প্রতিটি পর্যটন এলাকাও সেজেছে নতুন সাজে। রোমের নাভোনা চত্বর, স্প্যানিশ স্টেপস, ভিয়া দেল কোর্সো এবং শহরের প্রধান রাস্তাগুলোর আলোকসজ্জা দেখতে ভিড় করছেন পর্যটকসহ স্থানীয়রাও। এ তালিকায় আছেন রোমে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।
প্রবাসীদের একজন বলেন, ‘সবসময় বের হওয়া হয় না। উৎসব উপলক্ষে বের হওয়া হয়েছে।’
ক্রিসমাস ও খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে রোমের শপিংমল, সুপার মার্কেট, দোকানগুলোয় বাড়ছে ক্রেতা সমাগম। প্রিয়জনদের উপহার দিতে কিনছেন উপহার সামগ্রী। বিক্রি বাড়ায় চাঙা উৎসবকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য। স্থানীয়দের পাশাপাশি ভালো লাভের প্রত্যাশা প্রবাসী ব্যবসায়ীদেরও।
প্রবাসী ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘বিক্রি অনেক ভালো। আশা করছি সামনে আরো ভালো ব্যবসা হবে।’
২০২৫ সালকে বরণ এবং বড়দিন ঘিরে ভিন্ন এক আবহ ও উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে গোটা ইতালি। এবারের বড়দিনে পোপ ফ্রান্সিসের দেয়া শান্তির বার্তা শুনতে ভ্যাটিকান সিটিতে ভিড় করবেন বিশ্বের কয়েক লাখ খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী। জোরদার করা হয়েছে ভ্যাটিকান সিটিসহ গোটা রোম নগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।