সরেজমিনে দেখা যায়, এদিন ভোর থেকে কক্সবাজার শহরের ডলফিন মোড় এলাকায় পর্যটকদের ভিড় জমতে থাকে। এলাকা ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিল ৭১টি বাস।
কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়া ৩ হাজারের বেশি পর্যটকদের ফেরাতেই এসব গাড়ির ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন। গাড়ির টিকিট ও জেলা প্রশাসন থেকে ইস্যু করা বিশেষ পাস হাতে নিয়ে একে একে বাসে উঠেন পর্যটকরা। ঢাকার উদ্দেশ্যে প্রথম ধাপে ২৪টি গাড়ি ছাড়ে। পরে ছাড়ে আরও ৪৭টি গাড়ি ছেড়ে যায়। বহরের সামনে-পেছনে নিরাপত্তায় থাকে সেনা সদস্যরা। আর নানা ভোগান্তি পেরিয়ে তখন বাড়ি ফেরার আনন্দ ফুটে ওঠে পর্যটকদের চোখেমুখে।
একজন পর্যটক বলেন, 'অবশেষ বাসায় যেতে পারছি, এটাই অনেক আনন্দের। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষ প্রটোকলের মাধ্যমে বাড়ি যেতে পারছি। এজন্য আমরা স্বস্তি প্রকাশ করছি।'
কক্সবাজারে বেড়াতে এসে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন কয়েক হাজার পর্যটক। নির্ধারিত সময়ের বেশি অবস্থান করায় ফুরিয়ে যায় নগদ অর্থ, বন্ধ হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন। সেই সাথে যোগ হয় পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকার চরম ভোগান্তি। এমন পরিস্থিতির মধ্যে পর্যটকদের সহায়তায় এগিয়ে আসে প্রশাসন।
কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন বলেন, 'বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে বাংলাদেশ পুলিশ স্কোয়াড করে, আমরা তাদের ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি।'
দেশের চলমান পরিস্থিতির জেরে গত বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজারমুখি হননি পর্যটকরা। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে কক্সবাজারের ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউসসহ গোটা পর্যটন খাত।