দেশে এখন

হবিগঞ্জ শহরের দীর্ঘদিনের সমস্যা জলাবদ্ধতা

কাজল সরকার
হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জ শহরের দীর্ঘদিনের সমস্যা জলাবদ্ধতা। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি আর আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে হয় শহরবাসীকে। যদিও চলতি বছর জলাবদ্ধতা নিরসনে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।

গেল বছর সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে ইতিহাসের ভয়াবহ জলাবদ্ধতার কবলে পড়েন হবিগঞ্জ শহরবাসী। কয়েক ঘণ্টার টানা বর্ষণে ডুবে যায়, শহরের প্রধান সড়কসহ সবগুলো পাড়া মহল্লার রাস্তা। বাসা-বাড়িতে পানি ওঠে নষ্ট হয়ে যায় গুরুত্বপূর্ণ মালামাল। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন শহরবাসী। ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে চলতি বছর কতটা প্রস্তুতি নিয়েছে হবিগঞ্জ পৌরসভা?

সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের আবাস হিসেবে পরিচিত শহরের ইনাতাবাদ ও অনন্তপুর এলাকা। কিন্তু প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা এ এলাকার মানুষের নিত্য সঙ্গী। চলতি বছর এলাকা দুটির জলাবদ্ধতা নিরসনে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ড্রেন নির্মাণ করেছে হবিগঞ্জ পৌরসভা। ফলে কিছুটা স্বস্তির আশা এলাকাবাসীর।

পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, শহরে জলাবদ্ধতার প্রধান কারণগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধানে কাজ হচ্ছে। কালিগাছতলা, শায়েস্তানগর পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস, বাইপাস সড়ক, জেলা প্রশাসকের বাসভবনসহ জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকায় নতুন ড্রেন নির্মাণ, পুরাতন ড্রেন সংস্কার ও পরিষ্কার করা হয়েছে। পানি নিষ্কাশনে বাধা দেয় এমন সরু কালভার্ট ভেঙে বড় করা হয়েছে। এছাড়া শহরে পানি নিষ্কাশনের প্রধান চ্যানেল পুরাতন খোয়াই নদীর ২ কিলোমিটার অংশ পরিষ্কার ও আংশিক খনন করা হয়েছে।

তবে এখনও মোহনপুর, চিড়াকান্দি, মুসলিম কোয়ার্টার, পুরান মুন্সেফি, শ্যামলীসহ বেশ কিছু এলাকার ছোট ড্রেনগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভরে আছে। এ কারণে ভারি বর্ষণ হলে জলাবদ্ধতার শঙ্কা বাসিন্দাদের।

তারা বলেন, ড্রেনের অর্ধেক কাজ করা হইছে আর বাকিটা করা হয় নাই। এখন তো অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যাবে। ড্রেন যদি ক্লিয়ার থাকে তাহলে পানি যাইতে সুবিধা হয়।

হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম বলেন, 'বর্ষায় জলাবদ্ধতা নিরসনে চলতি বছর ৫ কোটি টাকার বেশি উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। এতে পুরোপুরি জলাবদ্ধ নিরসন না হলেও আগের ভয়াবহ অবস্থা থেকে শহরবাসী মুক্তি পাবেন।'

জলাবদ্ধতা নিরসনে শুধু ড্রেন-কালভার্ট নির্মাণ করলেই হবে না। স্থায়ী সমাধানে পরিকল্পিত মাস্টার প্ল্যান নিতে হবে বলে মনে করেন বাপা'র সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল।

তিনি বলেন, 'খালগুলোকে দখলমুক্ত করে খননের আওতায় আনতে হবে। তাহলেই জলাবদ্ধতা অনেকাংশে নিরসন হবে।'

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর