শহরের বুকে শতশত ক্ষত । নরসিংদী পৌরসভা এরইমধ্যে পার করেছে পাঁচ দশকের বেশি সময়। আর কত সময় গেলে এ ক্ষতগুলো ভরাট হবে ?
১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা হয় ১০ দশমিক তিন দুই বর্গকিলোমিটার আয়তনের নরসিংদী পৌরসভা। ৫৩ বছর বয়সী এ পৌরসভার নাগরিক সুবিধা এখনও নামমাত্র।
শহরের মূল ফটগুলোর অধিকাংশই ভাঙা এবং খানাখন্দে ভরপুর। ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমেও জলাবদ্ধতা দেখা যায় শহরের রাঙামাটি, সাটিরপাড়া, হেমেন্দ্রসাহার মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায়। এছাড়া ব্রাহ্মন্দী, সাহেপ্রতাপ রোড, শাপলাচত্ত্বর এলাকা ও সংগীতা এলাকাসহ বেশিরভাগ পাড়া মহল্লার সড়কই খানাখন্দে জর্জরিত। যাতে নিত্য ভোগান্তি পণ্য পরিবহনে।
স্থানীয়রা জানান, পুরো রাস্তারই ভাঙা। পানি জমা থাকে। রাস্তা দিয়ে তারা চলাফেরা করতে পারে না। ৫০ বছরের মধ্যে রাস্তার কোনো সংস্কার হয়নি। ড্রেনের কোনো সংস্কার করা হয় না।
আরও পড়ুন:
গাড়ি চালকরা জানান, তারা সড়ক দিয়ে মাল নিয়ে যান, তারা ঠিকমতো নিয়ে যেতে পারছেন না। ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে চালকদের।
বরাবরই এসব বিষয়ে সংবাদ করার সময় দায়িত্বশীলদের কাছ থেকে পাওয়া যায় আশ্বাসের বুলি। প্রকৃতার্থে এখানকার সমস্যা নিয়ে পরিকল্পনা কি? কি বলছেন পৌর প্রশাসক?
নরসিংদী পৌরসভা প্রশাসক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অধিক যান চলাচলের কারণে এ শহরের রাস্তাগুলো ভেঙে গেছে। আমরা এমন প্রায় ২৩টি সড়ক শনাক্ত করেছি। ছোটখাটো সমস্যাগুলো খুঁজে বের করা হয়েছে। কিছু কিছু সড়কের টেন্ডার নেয়া হয়েছে। বেশ কিছু রাস্তা প্রকল্পের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’
সরকারি-বেসরকারি শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও নরসিংদী পৌরসভায় রয়েছে মাঝারি ও বৃহৎ আকারের কয়েক হাজার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। রাস্তাগুলো সংস্কার হলে নাগরিক সুবিধা বাড়ার পাশাপাশি সম্প্রসারিত হবে ব্যবসায়।





