অর্থনীতি

ফেনীতে গবাদিপশু পালনে ঝুঁকছে তরুণরা

ফেনীতে তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে গবাদিপশু পালন। জেলার ৫ হাজারের বেশি গবাদিপশু খামারির মধ্যে ৩ হাজারের জনের বেশি তরুণ। সফলতার দেখা পাওয়ায় বাড়ছে নতুন উদ্যোক্তার সংখ্যাও। এখন উচ্চ শিক্ষিত, বিদেশ ফেরত ও চাকরি ছেড়ে আসা তরুণরাও বিনিয়োগ করছেন পশু পালনে।

ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম একাডেমি থেকে পাঠ চুকিয়ে জাপানি একটি কেমিক্যাল ট্যাঙ্কারে কর্মরত ছিলেন আহমেদ আদর চৌধুরী। কাজে মনোনিবেশ করতে না পারায় জাহাজ ছেড়ে গ্রামে এসে বাবাকে নিয়ে লেগে পড়েন গবাদিপশু পালনে। ২৮ বছরের এই যুবক এখন পুরোদস্তুর খামারি। ছাগলনাইয়া পৌর এলাকার বাঁশপাড়ায় ১৭ একর জায়গায় গড়ে তুলেছেন এগ্রো ফার্ম। যেখানে কাজ করছেন ৩৮ জন।

খামারি আহমেদ আদর চৌধুরী বলেন, 'আমাদের দেশে ঋন দেয়া হয় যার টাকা আছে তাকে। কেউ ইনভেস্ট করতে চাইতেছে তাকে কিন্তু ঋণ দেয়া হয় না।'

ফেনী শহরের ব্যবসায়ী আরাফাত খান। করোনা মহামারির ধাক্কা সামাল দিতে না পেরে ঝোঁকেন গবাদিপশু পালনে। প্রথম বছর ব্যবসা বুঝতে সময় লাগলেও গেল বছর ভালো ব্যবসা হয়েছে। চলতি মৌসুমে শতাধিক গবাদিপশু পালন করছেন তার খামারে। এবছরও ভাল লাভের আশা তার। গবাদিপশু লালন, পালন ও খামার করে সফলতার এমন গল্প একটি-দুটি নয়, অনেক।

খামারি আরাফাত খান বলেন, 'বাড়িতে বেকারগ্রস্থ অবস্থায় বসে থেকে এই খামারের উদ্যোগ নেয়া। দিন দিন আমার খামার বড় হচ্ছে পাশাপাশি খামারের চাহিদাও বাড়ছে।'

পরিকল্পিত সরকারি সহায়তা, গোখাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ আর সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে পশু প্রবেশ ঠেকাতে পারলে পশু পালনে সফলতার গল্প আরও বাড়বে।

একজন খামারি বলেন, 'বর্ডারে যদি গরু ঠেকানো যায় তাহলে আমরা খামারিরা নায্যমূল্য পাবো।'

পশু-পালনে তরুণরা আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করায় লাভের পরিমাণও বাড়ছে। এক্ষত্রে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে পাশে পাচ্ছেন তরুণ উদ্যোক্তারা।

ফেনী জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোজাম্মেল হক বলেন, 'নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে বেকার তরুণরা এতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।'

আসন্ন কোরবানি মৌসুমে ফেনীতে ৮৬ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে, মজুত রয়েছে ৯০ হাজারেরও বেশি।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর