বিদেশে এখন
0

ইউক্রেনের ভোভচানস্ক শহরে তুমুল যুদ্ধ

খারকিভ অঞ্চলের সীমান্ত শহর ভোভচানস্কে রুশ বাহিনীর সঙ্গে তুমুল লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। শহর দখলে নিতে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে আক্রমণ চালাচ্ছে মস্কো। তবে এখনও শহরের প্রায় ৬০ শতাংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার দাবি করছে কিয়েভ।

চলতি মাসের শুরু থেকে খারকিভ অঞ্চলের উত্তর অংশে যুদ্ধের নতুন একটি ফ্রন্টলাইন খুলেছে রুশ বাহিনী, লক্ষ্য ভোভচানস্ক শহর দখল করা। অভিযোগ উঠেছে, খারকিভের এই সীমান্ত শহরটি নিয়ন্ত্রণে নিতে বেসামরিক মানুষদের ওপর হামলা চালাতেও রাশিয়ার সেনাদের হাত কাঁপছে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে খারকিভ অঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১৪ হাজারের বেশি মানুষ। এছাড়া আরও এক লাখ ৯০ হাজার মানুষ রাশিয়ান ফেডারেশনের সীমান্তের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাস করেন। যার ফলে অঞ্চলটি তাদের বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে।

এক বাসিন্দা বলেন, ভোভচানস্ক শহরে প্রতিনিয়ত গোলাবর্ষণ হচ্ছে। কিছুক্ষণ পর পর আক্রমণ চালাচ্ছে। এ অবস্থায় এই শহরে থাকা খুবই বিপজ্জনক।

ইউক্রেনীয় সেনারা বলছেন, অঞ্চলটি যেন মস্কোর আওতায় চলে না যায় তার জন্য দিনরাত লড়াই করছেন তারা। অন্যান্য যুদ্ধ সরঞ্জাম কম থাকলে শেলের ওপর এখন ভরসা তাদের। আর তা দিয়ে শত্রুপক্ষকে এই ফ্রন্টলাইনে এমনভাবে পরাজিত করতে চান, যাতে অন্য কোথাও নতুন করে আক্রমণের সাহস না করে।

এক ইউক্রেনীয় সেনা বলেন, ‘এখানে আমাদের কাছে আর কিছু না থাকলেও অন্তত শেল রয়েছে। এটি দিয়ে আপাতত লড়াই চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। তবে আমরা ক্লান্ত, ঘুমানোর সময় পাচ্ছি না। তবুও যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

এদিকে অঞ্চলটিতে পুতিন বাহিনীকে হটাতে ইউক্রেনের সামরিক বহিনীর সদস্যরা সতর্কতার সঙ্গে লড়ছেন বলে জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও জানান তাদের শক্ত অবস্থানের কথা।

ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, খারকিভ অঞ্চলকে আক্রমণের নতুন তরঙ্গে রূপ দিয়েছে রাশিয়া। তবে আমাদের সামরিক বহিনীর সব সদস্য তাদের ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখছে। পাশাপাশি সচেতনার সঙ্গে আক্রমণের জবাব দিচ্ছে।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, আমি প্রকাশ্যেই বলেছি, যদি ইউক্রেনের হামলা চলতে থাকে, তাহলে আমাদের নিরাপত্তার জন্য যা করা দরকার তাই করবো। ইতোমধ্যে অঞ্চলটিতে আমরা সেটাই করছি।

এমন উত্তেজনার মধ্যেই নতুন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রথমবারের মতো কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া শুরু হয়েছে।