গতকাল (২৪ এপ্রিল) থেকে আগামী ৮ মে পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক করবে আইএমএফের ১০ সদস্যের দলটি।
এর মধ্যে ৫ মে পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ এবং পূর্বের তথ্যের সঙ্গে সার্বিক দিক মিলিয়ে দেখবে। পরে ৬ মে থেকে উচ্চপর্যায়ে বৈঠক শুরু হবে। প্রথম দিকেই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে বলে জানা যায়।
জানা গেছে, তথ্য সংগ্রহের পর ৬ বা ৭ মে গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করবে আইএমএফের প্রতিনিধি দল। এরপর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবে। সবশেষ ৮ মে আইএমএফ তাদের পর্যবেক্ষণ, পরামর্শ এবং সিদ্ধান্তের কথা জানাবে।
বর্তমানে আইএমএফের প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিটি বিভাগের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করছে। সেখানে বিভাগগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইছে এবং তথ্য সংগ্রহ করছে। সেক্ষেত্রে ২৪ ও ২৫ এপ্রিল এ দুদিনের বৈঠকে আইএমএফ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে রেপো সুদহারের বিনিময়ে ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেয়া, বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার দাম নির্ধারণ, মনিটরিং পলিসি, সুদের স্মার্ট রেট এবং আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেট নিয়ে আলোচনা করেছে বলে জানা গেছে।
২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে সাড়ে তিন বছরের মেয়াদে ৪.৭ বিলিয়ন ঋণ কার্যক্রমের বিপরীতে আইএমএফ বেশকিছু শর্ত দেয়। রিজার্ভ ছাড়া প্রায় সব শর্তই পূরণ করে দুই কিস্তির অর্থ ছাড় পায় বাংলাদেশ।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আইএমএফের প্রথম কিস্তি পাওয়ার পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় কিস্তি পায় গত ডিসেম্বরে। দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আগে সময়ভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা পুরোপুরি অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। বিশেষ করে গত জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
তবে রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা কমাতে আইএমএফের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে যে অব্যাহতি চেয়েছিল বাংলাদেশ, আইএমএফ সেটি অনুমোদন করায় ডিসেম্বর শেষে রিজার্ভ সংরক্ষণের নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয় ২৬.৮ বিলিয়ন ডলার। ডিসেম্বর পর্যন্ত নিট রিজার্ভ ছিল ১৬.৭৫ বিলিয়ন ডলার।