মোবাইলের দাম কমার সম্ভাবনা

স্মার্টফোন ডিসপ্লে
স্মার্টফোন ডিসপ্লে | ছবি: সংগৃহীত
1

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান ঘোষণা করেছেন, যে দেশে বৈধ পথে মোবাইলের আমদানিতে শুল্ক (Import Duty) কমানো হবে। শুল্ক হ্রাস পেলে সরাসরি এর প্রভাব পড়বে মোবাইলের দামে (Mobile Phone Price), ফলে ক্রেতারা কম খরচে স্মার্টফোন (Smartphone) কেনার সুযোগ পাবেন।

আজ (সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সেমিনারে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ব্যবসা সহজ করতে এবং অবৈধ আমদানি (Grey Market) বন্ধের উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোন আমদানি শুল্ক কমানো হবে। বোর্ড এখন আমদানি করের পরিবর্তে ভ্যাট (VAT) ও আয়কর (Income Tax) আদায়ের দিকে নজর দিচ্ছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত (Tax-to-GDP Ratio) কম থাকায় রাজস্ব আয় (Revenue Collection) বাড়ানো জরুরি, অন্যথায় দেশের অর্থনীতিতে (Economy) কাঙ্ক্ষিত গতি ফিরে আসবে না।

বিভিন্ন কোম্পানির স্মার্টফোন |ছবি: সংগৃহীত

সেমিনারে র‌্যাপিড (RAPID) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক জানান, মূল্যস্ফীতি (Inflation) নিয়ন্ত্রণে না এলে দরিদ্র মানুষের অবস্থা আরও খারাপ হবে। গত ৩ বছরে দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৯০ লাখ পর্যন্ত বেড়েছে।

আরও পড়ুন:

এনইআইআর (NEIR) বাস্তবায়ন ও সময়সীমা পরিবর্তন

আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে এনইআইআর সিস্টেম কার্যকর হচ্ছে। তবে অবৈধ (আনঅফিশিয়াল) মোবাইল ফোন (Unofficial Mobile Phones) বিক্রি নিয়ে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে সময়সীমা পরিবর্তন করা হয়েছে।

মোবাইল ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা আনঅফিশিয়াল ফোন বিক্রির সময়সীমা আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কেনা আনঅফিশিয়াল ফোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত (Automatically Registered) হবে।

বিটিআরসি (BTRC) এবং মোবাইল ব্যবসায়ীদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ক্লোন/কপি/ব্যবহৃত ফোন (Used/Refurbished Phones) অনুপ্রবেশ রোধ করে আমদানি প্রক্রিয়া (Import Process) আরও সহজ করা হবে। শুধু মোবাইল ফোনের মূল উৎপাদনকারী সংস্থার পাশাপাশি যেকোনো অনুমোদিত সরবরাহকারীর প্রত্যায়নপত্রসহ আবেদন করা হলেই বিটিআরসি দ্রুত আমদানির অনুমোদন দেবে।

আরও পড়ুন:

১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের বাজারে বিদ্যমান অবিক্রিত (Unsold) মোবাইল হ্যান্ডসেটগুলোর আইএমইআই (IMEI) ও সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি জমা দিলে বিটিআরসি সেগুলোকে নিয়মিতকরণের (Regularization) বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

এসআর