প্রায় নয় হাজারের বেশি মসজিদ রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি মসজিদ শারজায়। এরপর আবুধাবি ও দুবাইয়ের অবস্থান। দেশটির অন্যান্য প্রদেশগুলোতেও কয়েক শতাধিক মসজিদ রয়েছে। যেখানে প্রতিদিন লাখো মুসল্লিকে নামাজ পড়ান হাফেজ-ইমামরা। স্থানীয়রা ছাড়াও এসব মসজিদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দক্ষ-অভিজ্ঞ ইমাম ও মুয়াজ্জিন নিয়োজিত রয়েছেন। যারা সরকারি প্রায় সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন।
চলতি রমজানে দুবাইয়ের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিস বিভাগের অধীনে পরিচালিত মসজিদে যারা কাজ করছেন তাদের বেতন বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুম। এতে অন্যান্য দেশের পাশাপাশি সেখানে লাভবান হবেন বাংলাদেশি ইমাম মুয়াজ্জিনরাও।
প্রায় ত্রিশ বছরের বেশি সময় ধরে দেশটিতে রয়েছেন টেকনাফের লোকমান হাকিম। দুবাইয়ের একটি মসজিদের ইমাম হিসেবে নিয়োজিত আছেন তিনি। সরকারি সকল সুযোগ সুবিধাসহ পেয়েছেন দশ বছরের গোল্ডেন ভিসা।
দুবাইয়ের ইমাম ও খতিব লোকমান হাকিম বলেন, '১৯৯২ তে দুবাইতে আসি। প্রথমে মুয়াজ্জিন হই এরপর প্রমোশনের মাধ্যমে ইমাম হই। বর্তমানে এখন আমার কাছে গোল্ডেন ভিসা আছে।'
দেশটিতে ইমাম-মুয়াজ্জিনের এই পেশা খুবই সম্মানজনক। দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন বলছেন, এই পেশায় সুনামের সাথেই কাজ করছেন বাংলাদেশিরা।
দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন বলেন, 'শুধু ইমাম নয় এখানে অন্যান্য পেশার সাথে যারা আছে তারাও সুনামের সাথে কাজ করছে।'
আমিরাতে অবস্থানরতদের পাশপাশি এই পেশায় যোগ দিতে আবেদন করা যায় দেশ থেকেও। যথাযথ যোগ্যতা ও আরবি ভাষায় অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা অনলাইনে আবেদনের সুযোগ পান।
দুবাইয়ের ইসলামি সাহিত্যিক ও ফিকহবিদ ড. মাওলানা আব্দুস সালাম বলেন, 'আরবি বলার সক্ষমতা থাকতে হবে এবং খুতবা পড়তে পারে। এই দক্ষতা থাকলে অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে তাদের।'
গতবছর দেশটিতে ইমাম, মুয়াজ্জিন, ইসলাম ধর্ম প্রচারকারী ও ধর্মীয় গবেষকদের দশ বছরের গোল্ডেন ভিসার আওতায় আনা হয়। এই পেশায় যারা দেশটিতে ২০ বছর অতিবাহিত করেছেন তারাই এই ভিসা গ্রহণের সুযোগ পান।