ব্রিফিংয়ে র্যাব জানিয়েছে, সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারের কাছ থেকে ল্যাপটপ সংগ্রহ করে সাইবার হামলার পরিকল্পনা করেছিল কুকি-চিন সন্ত্রাসীদের।
অপহরণের প্রায় দুদিন পর গতকাল (বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল) কুকি-চিনের সঙ্গে র্যাবের মধ্যস্থতায় তাকে উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে র্যাবের বান্দরবান ক্যাম্পে নেওয়া হয়। নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
জানা গেছে, রুমার যে স্থান থেকে অপহরণ করা হয়েছিল ওই এলাকার আশপাশ থেকেই পরিবার ও র্যাবের সহায়তায় বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে তাকে উদ্ধার করা হয়। তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন।
রাতে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আফজাল করিম বলেন, ‘তাকে নির্যাতন করা হয়নি। নেজাম উদ্দীন ট্রমাটাইজড না, উনি সুস্থ আছেন।’
এদিকে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারের পর আবারও থানচির সোনালী ব্যাংক শাখা এলাকায় হামলা চালায় সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। সেখানে পুলিশের সঙ্গে তাদের গোলাগুলি চলে বলে জানান বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জুনায়েদ জাহেদী।
গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে তারাবির নামাজ চলাকালে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় হামলা চালায় সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। সোনালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা চালায়।
এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রও লুট করে। একইসঙ্গে মসজিদ থেকে রুমা শাখার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সশস্ত্র ওই বাহিনী।
এর আগে র্যাবের পক্ষ থেকে আজ জানানো হয়, অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্তি দিতে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে কেএনএফ।
র্যাব বলছে, কেএনএফের আর্থিক সংকট চলছিল, তা আগে থেকেই কয়েকটি সংস্থাকে জানানো হয়েছিল। এ সংকট দূর করার জন্যই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে।