আজ (মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
সংস্থাটি বলছে, চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেতে পারে। এতে করে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৬ শতাংশ। কিন্তু মূল্যস্ফীতি কমাতে পারলে এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক করা সম্ভব হলে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৫.৭ শতাংশ হতে পারে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা অর্থনীতির জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। এ উচ্চ মূল্যস্ফীতির ধারা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক বলেন, 'বাংলাদেশের আর্থিক খাতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উচ্চ মূল্যস্ফীতি। যা নিম্ন আয়ের বড় সংখ্যক মানুষদের সংকটে ফেলে দিয়েছে। একইসঙ্গে আমদানি ব্যয় মেটানোও অর্থনীতির জন্য অন্যতম চাপ তৈরি করেছে।'
মুদ্রাবাজারে সঠিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণ না কা হলে রিজার্ভ সংরক্ষণ কঠিন হবে বলেও মনে করছে বিশ্বব্যাংক।
কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, 'মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে সুদের হারের সীমা পর্যায়ক্রমে তুলে দিতে হবে। এছাড়া ব্যাংক খাতের কার্যকর তদারকির মাধ্যমে আর্থিক খাতের ঝুঁকি কমানোর উদ্যোগ নেয়া উচিত। এছাড়া পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বিশ্বব্যাংক অর্থনীতিতে সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছে। বিশেষ করে বিনিময় হারকে ধরা বাধার বাইরে রাখা, মুদ্রানীতি আধুনিক করা এবং রাজস্ব খাতের সংস্কারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।'