বাণিজ্য-বিনিয়োগে ভঙ্গুর দশা, আওয়ামী মদদপুষ্ট সংগঠনগুলোকেই দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা
কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী শাসনামলের পুরো ১৫ বছরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ছিল গোষ্ঠিতান্ত্রিকতার কবলে। একচেটিয়া সুবিধা পায় বেক্সিমকো, এস আলমসহ আওয়ামী লীগের আত্মীয়স্বজন। রিজার্ভ চুরি কিংবা শেয়ারবাজার লুটের মাঝেই চলছিল রপ্তানি হিসাবের গড়মিল। ১৫ বছরের এসব অনিয়মে যখন পুরো দেশ হাবুডুবু খাচ্ছে তখন শুধু পাচার হয় ২৮ লাখ কোটি টাকা। এর জন্য ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক বলয়ে থাকা বাণিজ্যিক সংগঠনগুলোর মুখে কুলুপ দেয়াকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। আর সংস্কারের মাধ্যমে এসব অনিয়ম বন্ধ করা না গেলে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ঠিক হবে না বলে সতর্ক করছেন অর্থনীতিবিদরা।
বিসিকের চলমান প্রকল্প পরিদর্শন করলেন শিল্প উপদেষ্টা
শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় বাস্তবায়নাধীন তিনটি চলমান প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। আজ (মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর) তিনি পরিদর্শন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ বেড়েছে ২ লাখ কোটি ডলার
এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ বেড়েছে ২ লাখ কোটি ডলার। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেশটির জাতীয় ঋণ ছাড়িয়েছে ৩৬ লাখ কোটি ডলার।
অর্থনীতির নানা সূচকে গরমিল: তড়িঘড়ি করে এলডিসি উত্তরণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল!
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই গরমিল শুরু হয় রপ্তানি তথ্যে। যা উঠে আসে বিদায়ী অর্থবছরের শেষ সময়ে। এতে জিডিপির আকার থেকে শুরু করে কমবে মাথাপিছু আয়, অর্থনীতির নানা সূচক। এমন ভুল তথ্যের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা আর্থিক কাঠামোয় ভর করে এলডিসি থেকে উত্তরণ কতটা সঠিক সিদ্ধান্ত তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। তড়িঘড়ি করে এলডিসি উত্তরণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে আরও সময় নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
সমতা তৈরিতে জাতীয় অর্থনীতিতে ভাসমান অর্থনীতির অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন
অর্থের অনানুষ্ঠানিক হাতবদলের প্রায় ৮০ শতাংশ জিডিপির বাইরে। যার বড় অংশই ভাসমান অর্থনীতি। ১০, ৫০ বা ১০০ জন মিলে জনসংখ্যার বড় একটি অংশের এই আর্থিক হাতবদলে সৃষ্টি হয় কর্মসংস্থান। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এসব সঞ্চয় বিনিয়োগ হয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থানের মতো মানবশক্তির উন্নয়নে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা জ্ঞান ও সচেতনতা ক্ষুদ্র থেকে জাতীয় অর্থনীতিকে পাল্টে দিয়ে গড়তে পারে অংশগ্রহণমূলক অর্থনীতি। পরিবর্তন আনতে পারে জাতীয় সূচকে।
বিভিন্ন উদ্যোগেও কমছে না মূল্যস্ফীতি, জিডিপি কমার পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের
আর্থিক ও সামাজিক স্বস্তি ফিরতে আরো দু'বছর অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশকে। ২০২৪ ও ২৫, দুই অর্থবছরে জিডিপি কমার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তবে চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির চাপ, বিনিয়োগে ঘাটতি, আমদানি-রপ্তানিতে চাপ না কাটলেও, ২০২৫ সালে সবগুলো সূচকই সহনীয় হয়ে আসবে।
জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলার বরাদ্দে বৈষম্য রয়েছে: সিপিআরডি
বছর বছর বরাদ্দ বাড়লেও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত সব অঞ্চল সমান বরাদ্দ পাচ্ছে না। জলবায়ু গবেষণা সংস্থা সিপিআরডির গবেষণা বলছে, চট্টগ্রাম ও বরিশাল উপকূলের মাত্র এক তৃতীয়াংশ বরাদ্দ পায় বরেন্দ্র অঞ্চল। এতে পরিবেশগত নানা সমস্যার পাশাপাশি এ অঞ্চলে কমছে কৃষি উৎপাদন। মাত্রা বেড়েছে চলছে। ২০১১ সালে এই অঞ্চলের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ছিল ৩১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি বছর সেই তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে রেকর্ড অর্থাৎ ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে উপকূলীয় এই অঞ্চলে দিন দিন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব স্পষ্ট হচ্ছে।
৫, ১০ ও ২০ টাকার নোট দ্রুত পরিবর্তনের ব্যবস্থা করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা
কাট-ছাঁট হতে পারে চলতি অর্থবছরের বাজেট
৫, ১০ ও ২০ টাকার নোট দ্রুত পরিবর্তনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। আজ (সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর) সকালে সচিবালয়ে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান। বলেন, চলতি মাসে বা আগামী মাসে বাজেট রিভাইজ করা হতে পারে।
দেশের মোটরগাড়ি শিল্প পুরোটাই আমদানিনির্ভর, উৎপাদন-ব্যবহারেও ঢের পিছিয়ে
বাংলাদেশের মোটরগাড়ি শিল্প দক্ষিণ এশিয়ার মাঝে তৃতীয় বৃহত্তম। যার পুরোটাই আমদানিনির্ভর। আর একসময়ের বিলাসী গাড়ি, বর্তমানে হয়ে উঠেছে প্রয়োজন। তাই দিন দিন গাড়ির চাহিদা বাড়ছে। প্রতিবেশিদের তুলনায় গাড়ি উৎপাদন ও ব্যবহারে অনেকটাই পিছিয়ে আছে দেশ। তবে, গাড়ি শিল্পকে আমদানি থেকে রপ্তানিমুখী শিল্পে পরিণত করা সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তার জন্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও জানান তারা।
রপ্তানি তথ্য সমন্বয়ে পদক্ষেপ নিলো অর্থ মন্ত্রণালয়
জিডিপি-মাথাপিছু আয় কমার শঙ্কা দূর হবে বলে প্রত্যাশা
বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রকাশিত রপ্তানি তথ্যে পার্থক্য সমন্বয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে মাথাপিছু আয় কমে যাওয়ার যে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে তা দূর হবে বলে মনে করছে দপ্তরটি।
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে আফগানিস্তানের অর্থনীতি
আফগানিস্তান ২০২১ সালে যখন তালেবানদের দখলে যায়, তখন আবারও সেই ২০ বছর আগের ভয়াবহ জীবনের হাতছানি দিচ্ছিলো দেশটির সাধারণ মানুষকে। বিশেষ করে নারীশিক্ষা ও মানবাধিকারে তালেবান শাসন নিয়ে ছিল নানা প্রশ্ন। তবে মাত্র আড়াই বছরে অর্থনীতিতে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে দেশটি। ক্ষমতা দখলের একবছরের মধ্যেই মূল্যস্ফীতি অর্ধেকে নেমে আসে। রপ্তানি আয় ও রাজস্ব আদায়েও চমক দেখাচ্ছে তালেবান সরকার। সেইসঙ্গে কৃষি খাতে আছে অভাবনীয় সাফল্য। এতো কম সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতির এই উত্থানের পেছনে কী আছে?
সংকট ও চ্যালেঞ্জে শুরু নতুন অর্থবছর
রপ্তানি, বৈদেশিক মুদ্রা আর বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভর করে ইতিবাচক ধারা দিয়ে পার হয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম দিন। তবে মূল্যস্ফীতি, জিডিপির হার, খেলাপি ঋণ, বেসরকারি বিনিয়োগ আর শেয়ারবাজারের সূচক সংকটাপন্ন। সব মিলিয়ে সংকট ও চ্যালেঞ্জের মধ্যদিয়ে শুরু হলো নতুন অর্থবছর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ হবে স্থবিরতা থেকে ফিরিয়ে জিডিপির হারে বেসরকারি খাতের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি।