আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ইয়েমেন ভূখণ্ডে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। হুতি বিদ্রোহীদের আস্তানা লক্ষ্য করে পরপর ৬০ বার হামলা চালানো হয়।
সুয়েজ খাল বন্ধ করে যখন লোহিত সাগর দখলে রেখেছে ইয়েমেনের হুতি গেরিলারা তখন কূলকিনারা না পেয়ে প্রভাবশালী দেশ দুটি আন্তার্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। তাদের এই অভিযানে সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডস।
তবে এই হামলার কঠোর সমালোচনা করেছে রাশিয়া। মস্কো জানায়, যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করেছে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশনের সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছে।
এদিকে রাশিয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছে তুরস্ক ইরান, জর্ডান, মিশর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। আর সৌদি আরব জানায়, হুতিদের সঙ্গে পশ্চিমাদের হামলা-পাল্টা হামলায় লোহিত সাগরের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।
ইয়েমেনের ওপর চড়াও হওয়ায় শুধু মুসলিম দেশগুলোই যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের বিপক্ষে কথা বলেছে তা নয়। নিজ দেশে পার্লামেন্ট সদস্যদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
তাদের অভিযোগ, পার্লামেন্টের অনুমোদন ছাড়াই ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যা মার্কিন সংবিধান পরিপন্থী। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে বাইডেন প্রশাসন একের পর এক সংঘাত বাড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যানদের।