রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে এবার পারমাণবিক দুর্ঘটনার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রোববার (৭ এপ্রিল) একটি ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত ও হতাহতের ঘটনায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। ইতোমধ্যে এমন হামলার কারণে পারমাণবিক দুর্ঘটনার ঝুঁকির বিষয়ে সতর্কও করেছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা আইএইএ। পারমাণবিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে এমন ধরনের কাজ থেকে দু'দেশকেই বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়।
২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযান শুরুর পরপরই ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দখল নেয় রুশ বাহিনী। তাই এই হামলা জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করছে রাশিয়া। তবে হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে ইউক্রেন। একই সঙ্গে খারকিভ, দোনেৎস্ক, জাপোরিঝিয়াসহ অন্যান্য শহরে রাশিয়ার আক্রমণ সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলছে বলে দাবি করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পাশাপাশি যথেষ্ট বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেই জানিয়ে, বন্ধু দেশকে দ্রুত সহায়তা পাঠানোর আহ্বান জানান তিনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, 'বিশ্বে এমন বিমান প্রতিরক্ষা যা ইউক্রেনে হস্তান্তরের জন্য শুধু রাজনৈতিক সদিচ্ছা দরকার। আমি সেই দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানাই যারা ইতোমধ্যে অবদান রেখেছে। এই কাজে সক্রিয় হওয়া আমাদের কূটনীতিকদের ব্যক্তিগত দায়িত্ব। এই মুহুর্তে আমাদের প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমের প্রয়োজন।'
এদিকে যুদ্ধ উত্তেজনার মধ্যেই দু'দিনের সফরে চীনে পৌঁছেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। এ সময় ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে শুরু করে জি২০সহ নানা ইস্যুতে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই'র সাথে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। অন্যদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে আলোচনার জন্য মে মাসে চীন সফর করবেন বলে জানা গেছে। নতুন মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এটিই হতে পারে তার প্রথম বিদেশ সফর।