ইউরোপ
বিদেশে এখন
0

ক্রিসমাসের দিন ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা অমানবিক: জেলেনস্কি

ক্রিসমাসের দিন ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে রাশিয়ার হামলাকে 'অমানবিক' বলে আখ্যা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। অন্যদিকে, রাশিয়ার একটি শপিং মলে ড্রোন হামলায় একজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এদিকে রাশিয়ার অভিযোগ, ইউক্রেনে সেনা সরবরাহের জন্য মলদোভাকে ব্যবহার করছে ন্যাটো।

চলতি বছর ১৩ বারের মতো ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে বড় ধরনের আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। বড়দিনের সকালেই রাশিয়ার হামলায় ব্ল্যাক আউটের কবলে পড়ে রাজধানী কিয়েভ। ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় থাকা খারকিভ অঞ্চলের ৫ লাখ পরিবার প্রয়োজনীয় জ্বালানি সংকটে ভুগছে।

রুশ ভূখণ্ড থেকে নিক্ষেপ করা ১৮৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আবাসিক ভবন ও বেসামরিক অবকাঠামো। ইউক্রেন বলছে বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই প্রতিহত করা হয়েছে। যদিও, রাশিয়ার দাবি, হামলার মাধ্যমে রুশ বাহিনী তাদের উদ্দেশ্য সফল করেছে।

এদিকে, রাশিয়ার ভ্লাদিকাভকাজ শহরের একটি শপিং মলে ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। আগের দিন, কিয়েভের নিক্ষেপ করা ৫৯টি ভূপাতিত করার দাবি করে রাশিয়া। এছাড়াও, ইউক্রেন সীমান্তে রুশ বাহিনীর স্থল অভিযান চলছে।

দুই দেশের পাল্টাপাল্টি আক্রমণের মধ্যে বড়দিন উদযাপনে ইউক্রেনীয়দের মনে ছিল ভয় আর আতঙ্ক। যুদ্ধে আহত সেনাদের সঙ্গে বড়দিন উদযাপন করেন একদল বাসিন্দা।

হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিয়েভে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এদিকে, বড়দিনে চালানো রুশ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে অমানবিক বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘আক্রমণের জন্য বড়দিনকে বেছে নিয়েছেন পুতিন। এর চেয়ে অমানবিক কাজ আর কি হতে পারে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ কয়েক শ' ড্রোন হামলা চালিয়েছে তারা। যা সত্যিই দুঃখজনক।’

এদিকে, ন্যাটোর বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ এনেছে মস্কো। মলদোভাকে লজিস্টিক কেন্দ্রে পরিণত করে ইউক্রেনে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করছে পশ্চিমা এই সামরিক জোট।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘ইউক্রেনে সশস্ত্র বাহিনী পাঠানোর জন্য মলদোভাকে আক্ষরিক অর্থে একটি ঘাঁটিতে পরিণত করার চেষ্টা করছে ন্যাটো। অথচ মলদোভার নাগরিকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধেই তা করা হচ্ছে। তাদের সামরিক সরঞ্জাম ও অবকাঠামোর আধুনিকীকরণের জন্য ন্যাটো সদস্য দেশ থেকে বিপুল অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।’

বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই শঙ্কায় ছিল মলদোভা। কারণ মস্কোর পরবর্তী টার্গেট হতে পারে এই দেশটি। পশ্চিমা নেতাদের এমন অভিযোগে উদ্বেগের মধ্যে আছে মলদোভার বাসিন্দারা। ক্রেমলিনের অভিযোগ, মলদোভাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্ত করে রাশিয়াকে চাপে ফেলতে চাইছে পশ্চিমারা।

এএম