এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে পুরো উত্তাল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজপথ। বিক্ষোভ হচ্ছে লন্ডন, ইরাক, জর্ডান, পাকিস্তান, তিউনিশিয়াসহ অনেক দেশে। শত শত মানুষ ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন আর স্লোগান দিচ্ছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, 'জায়োনিস্ট শত্রুরা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। চোখ বন্ধ করে অনেকে আবার সেটার সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।'
আরেকজন বলেন, 'আমরা ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের স্বাধীনতার পক্ষে। প্রতিদিন তাদের সমর্থন করবো।'
এদিকে মিশরের কায়রোতে আজ ( ৩১ মার্চ) যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা আবারও শুরু হতে যাচ্ছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ ও বন্দিদের মুক্তির দাবিতে তেল আবিবে বিক্ষোভ করছেন সরকার বিরোধীরা। হামাস ইসরাইল যুদ্ধের প্রায় ৬ মাসে প্রথমবারের মতো বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন বন্দিদের পরিবারের সদস্যরা। এসময় গ্রেফতার হয়েছেন অনেকেই। তাদের দাবি এখন পর্যন্ত ১৩০ জন ইসরাইলি হামাসের কাছে বন্দি আছে।
তেল আবিবে বিক্ষোভকারীরা বলেন, 'সরকার যা করছে একদম অনৈতিক। ইসরাইলের নাগরিকদের অবজ্ঞা করছে। যুদ্ধে কোটি ডলার ঢালছে। গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। সরকারের উচিত আজই এখনই পদত্যাগ করা।'
আরেকজন বলেন, 'হয় সরকার নিজের মানসিকতার পরিবর্তন করবে, না হয় পদত্যাগ করবে। এই দুর্যোগ থেকে দেশকে রক্ষা করতে আরও মানুষ আছে।'
শনিবার ( ৩০ মার্চ) ভূমি দিবস পালন করেছেন ফিলিস্তিনিরা। ১৯৭৬ সালের এই ৩০ মার্চ ইসরাইলের অবৈধ ভূমি দখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভে প্রাণ যায় ৬ জন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনির, আহত হন আরও অনেকে। সেসময় ফিলিস্তিনের নাগরিকদের ২ হাজার হেক্টর ভূমি দখলের নির্দেশ দেয় ইসরাইল। প্রতিবছর এই দিনে ইসরাইল আর পশ্চিমতীরের ফিলিস্তিনিরা বিক্ষোভ করেন। এবার এই দিনে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভকারীরা বলেন, 'গাজায় যা হচ্ছে, মানব সভ্যতার ইতিহাসে সেটা হয়নি। মানুষ অভাবে মরছে, অথচ ২০০ কোটি মুসলিম তাদের এক বোতল পানি দিতে পারছি না।'
আরেকজন বলেন, 'দুর্ভাগ্য আমাদের, মোবাইলে গণহত্যা দেখতে হচ্ছে। ন্যায়বিচার হতেই হবে।'
বর্তমান সময় পর্যন্ত একটু একটু করে অবৈধভাবে গাজা আর অবরুদ্ধ পশ্চিমতীরের ভূমি দখল করছে ইসরাইল। ২০২৪ সালের মার্চে ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী বেজালাল স্মোতরিক ঘোষণা দেন, পশ্চিমতীরের ৮শ' হেক্টর এলাকা দখল করেছেন তারা।