
এনবিআরকে যেসব পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ
আইএমএফের শর্ত পূরণে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরণে বড় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল এনবিআর। লক্ষ্য অর্জনে নানা পরামর্শ দিয়েও সহায়তা করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তবে নানা উদ্যোগের পরও অর্ধবছরে এসে করতে হয়েছে কাটছাট। এরপরেও রয়ে গেছে বড় ঘাটতি। এরইমাঝে আগামী অর্থবছরের জন্যও ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার বড় লক্ষ্য নিয়ে এগোতে চাচ্ছে এনবিআর।

এপ্রিল শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯.৯৬ বিলিয়ন ডলারে
এপ্রিল মাস শেষে বিপিএম–৬ অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯.৯৬ বিলিয়ন ডলার। আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সরকারি খরচ-বিনিয়োগে অর্থ ধার বাড়লেও এনবিআর বলছে ‘নেগেটিভ নয় বরং ভালো’
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে যে বিনিয়োগ করা হয় তার পুরোটাই ধার করে করা। সরকারের খরচের সঙ্গে এই ধারের পরিমাণ বাড়ছে, যা ভালো বিষয় নয়। তবে এ প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, অর্থ ধার নেগেটিভ নয়, এটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য ভালো। আজ (মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল) রাজধানী গুলশানে বাংলাদেশ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) আলোচনা সভায় এসব কথা উঠে এসেছে।

রিজার্ভ, ডলার রেট ও দুর্বল ব্যাংকের অবস্থা ফেরাতে পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রিজার্ভ, ডলারের দাম ও দুর্বল ব্যাংকগুলোর অবস্থা ফেরাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আজ (সোমবার, ২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।

গভর্নরের সঙ্গে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের বৈঠক ৬ বা ৭ মে
ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড় করার আগে শর্ত পূরণ পর্যবেক্ষণ করতে বাংলাদেশে বর্তমানে অবস্থান করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল। পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে আগামী ৬ বা ৭ মে তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করতে পারে বলে জানিয়েছে কয়েকটি সংশ্লিষ্ট সূত্র।

রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯.৯৭ বিলিয়ন ডলারে
রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে আসার কারণে কমতির দিকেই দেশের অর্থনীতির সূচক। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত সপ্তাহের মতো ২০ বিলিয়ন বা ২ হাজার কোটি ডলারের নিচেই রয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে রিজার্ভের এ তথ্য জানান গেছে।

ঋণের তৃতীয় কিস্তি: আজ থেকে আইএমএফের বৈঠক শুরু
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি দেখতে ঢাকায় এসেছে সংস্থাটির ১০ সদস্যের একটি মিশন। এটি শর্ত বাস্তবায়ন ও সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আজ বুধবার থেকে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে। এসব বৈঠকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকিং খাত ও রাজস্ব সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দেবে পর্যালোচনা দলটি। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতি কঠোর করার পরামর্শ আইএমএফের
বাংলাদেশের রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডলারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি সামলাতে তাই মুদ্রানীতি কঠোর করার পরামর্শ সংস্থাটির। দক্ষিণ এশিয়াভুক্ত দেশগুলোয় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাৎসরিক রাজস্ব পরিকল্পনায় দীর্ঘসূত্রিতা এটি বাড়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ক্রিস্টিলিনা জর্জিয়েভা।

রিজার্ভ কমে আবারও ২০ বিলিয়নের নিচে
ঈদের পর রেমিট্যান্স প্রবাহ কমার পাশাপাশি আমদানির চাপে আবারও কমতে শুরু করেছে অর্থনীতির সূচক। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন কমে ২০ বিলিয়ন বা ২ হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমে গেছে। আজ (বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিশ্বে জলবায়ু বিনিয়োগ তিনগুণ বাড়ানো প্রয়োজন: আইএমএফ
জলবায়ু অর্থায়নে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য বলে মনে করে আইএমএফ। বিশ্বে জলবায়ু বিনিয়োগ এই মুহূর্তে ৪ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন আইএমএফের ক্লাইমেট ফাইন্যান্স পলিসি প্রধান।

চলতি বছর দেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৭ শতাংশ: আইএমএফ
২০২৪ সালে বিশ্ব প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৩.২ শতাংশ। যা অপরিবর্তিত ২০২৫ সালেও থাকবে। তবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৭ শতাংশ। গ্লোবাল ইকোনমিক আউটলুক প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানায়, মুদ্রানীতি কঠোর করার কোন বিকল্প নেই।

'আইএমএফের ৯টি শর্ত পূরণ করেছে বাংলাদেশ'
আইএমএফের দেয়া ১০ শর্তের ৯টিই পূরণ করেছে বাংলাদেশ। সংস্থাটির সঙ্গে বৈঠকে এমনটি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর। তাই ঠিক সময়ে কিস্তি পাবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ। এর আগে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের এ বছরের বসন্তকালীন সম্মেলনে জলবায়ু, পরিবেশ, টেকসই নগরায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। বলা হয়, শান্তি ও সংঘাত এক সাথে চলতে পারে না, যে কারণে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত পৃথিবী অর্জনেও পিছিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব।