ভৌগলিকভাবেই জলবায়ু বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় ও নদীভাঙনে এই ভূমির মানুষ প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম সাক্ষী। উজাড় হয় ঘর-বাড়ি, হাট-বাজার জলা আর কৃষিভূমি। হারায় পরিচয় আর খাদ্য, বাসস্থান ও শিক্ষার মতো মৌলক অধিকার হারিয়ে দেশের অভ্যন্তরেই হাজার হাজার মানুষ উদ্বাস্তু হন।
গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্সও বলছে, জলবায়ু বিপর্যস্ত শীর্ষ ১০ ক্ষতিগ্রস্থ দেশের প্রথমেই আছে বাংলাদেশ। ১৩ বছর পরও আন্তর্জাতিক ফোরামের জলবায়ু বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের আলোচনার অংশ বাংলাদেশ।
ইতোমধ্যে রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবলিটি ফ্যাসিলিটির সুবিধা থেকে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ১.৪ বিলিয়ন সহায়তা পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আইএমএফের বসন্তকালীন আলোচনায় বাংলাদেশের কথা গুরুত্বের সাথে আসে। একইসঙ্গে আসে বিনিয়োগের ঝুঁকি ও অর্থসম্পদের সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনাও।
আইএমএফের ক্লাইমেট ফাইন্যান্স পলিসি প্রধান প্রসাদ আনান্থকৃষ্ণ বলেন, সারাবিশ্বের জন্য অন্তত ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর জলবায়ু অর্থায়ন ২ ট্রিলিয়ন প্রয়োজন। একইসঙ্গে ক্লাইমেট বন্ড চালু করতে হবে।
এদিকে পরিবেশ বিপর্যয়ের সঙ্গে গুরুত্ব পায় মানবসৃষ্ট বিপর্যয়। যেখানে সারাবিশ্বের পুঁজিবাজার ও অর্থনীতির ধারাবাহিকতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করেন বিভিন্ন দেশের গভর্নররা।
ব্যাংক অব কোরিয়ার গভর্নর ড. চ্যাংজোয়েন রি মনে করেন, ভূ-রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে জ্বালানি ছাড়াও কৃষি ব্যবস্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে পরিকল্পনা ও লক্ষ্য অর্জনে বিশ্ব একটি অসমন্বয় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।