মুদ্রাবাজার
অর্থনীতি
এপ্রিল শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯.৯৬ বিলিয়ন ডলারে
এপ্রিল মাস শেষে বিপিএম–৬ অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯.৯৬ বিলিয়ন ডলার। আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম–৬ অনুযায়ী, ২ মে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে হয়েছে ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৯৯৬ কোটি ডলার।

এ সময় মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৫ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন বা দুই হাজার ৫৩৭ কোটি ডলার। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল রিজার্ভ ছিল ২০.২৪ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার কোটি ডলার। এর আগে গত ২৫এপ্রিল রিজার্ভ ছিল ১৯.৯৭ বিলিয়ন ডলার বা এক হাজার ৯৯৭ কোটি ডলারে। তারও আগে ১৭ এপ্রিল বিপিএম–৬ অনুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন বা এক হাজার ৯৮৯ কোটি ডলারে।

ঈদের আগে ৮ এপ্রিল বিপিএম–৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ১১ বিলিয়ন বা দুই হাজার ১১ কোটি মার্কিন ডলার। ওই দিনে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৫৩৯ কোটি ডলার। এ হিসেবে গত ১০ দিনে বিপিএম-৬ এর রিজার্ভ কমেছে ২১১ মিলিয়ন বা দুই কোটি ১১ লাখ ডলার।

বিপিএম-৬ অনুযায়ী, গত ৩ এপ্রিল শেষে রিজার্ভ ছিল ১৯.৯৬ বিলিয়ন ডলার। এর আগের সপ্তাহ অর্থাৎ ২৭ মার্চ ছিল ১৯.৪৫ বিলিয়ন ডলার।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা দাঁড়ায় ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল। বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে ওই সময় রিজার্ভ বাড়ানো হয়। এরপর সংকটের কারণে ২৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এর ফলে ধারাবাহিকভাবে রিজার্ভ কমে গত নভেম্বর শেষে ১৯.৩০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। এরপর আবারও বেড়ে ডিসেম্বরে ২১.৮৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল, তবে চলতি বছরের জানুয়ারি শেষে আবার কমে ১৯.৯৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়। মার্চের শেষ তিন সপ্তাহ ধরে রিজার্ভের নিম্নগতি দেখা যায়।

গত ২০ মার্চ বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ ছিল ১৯.৯৮ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৯৯৮ কোটি ডলার। গত ৬ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত দুই সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমে ১.০৯ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী, কমে ১.১৬ বিলিয়ন ডলার।

এভিএস