ব্যাংকপাড়া
অর্থনীতি
0

'আইএমএফের ৯টি শর্ত পূরণ করেছে বাংলাদেশ'

আইএমএফের দেয়া ১০ শর্তের ৯টিই পূরণ করেছে বাংলাদেশ। সংস্থাটির সঙ্গে বৈঠকে এমনটি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর। তাই ঠিক সময়ে কিস্তি পাবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ। এর আগে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের এ বছরের বসন্তকালীন সম্মেলনে জলবায়ু, পরিবেশ, টেকসই নগরায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। বলা হয়, শান্তি ও সংঘাত এক সাথে চলতে পারে না, যে কারণে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত পৃথিবী অর্জনেও পিছিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব।

রৌদ্রজ্জ্বল ওয়াশিংটনের সকালের শুরু হয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন সম্মেলন দিয়ে।

বিশ্বের ১৯০টি দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়ন সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্য এক। আগামী এক বছরে অর্থনীতির রোডম্যাপ কী হতে যাচ্ছে, তা দিয়ে শুরু আলাপ-আলোচনা।

অর্থনীতির উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে গত কয়েক বছরে উন্নত কয়েকটি দেশ ছাড়া পিছিয়ে আছে বিশ্ব। বেড়েছে দারিদ্রতা। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতির খড়গের চাপ এখন দৃশ্যমান। বিশ্বের সংসদদের একের পর এক প্রশ্ন- ভূ-রাজনীতি দ্বন্দ্ব আর সংঘাতে বিশ্বের লক্ষ্য অর্জনের উপায় কী হবে? আসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আর সম্প্রতি ইসরাইল ফিলিস্তিনের সংঘাত কেন্দ্র করে অস্থির মুদ্রা ও বিনিময় বাজার। আলোচকরা বলেন, প্রতিটি দেশকে বৈশ্বিক আইন মানতে হবে।

আলোচনায় গুরুত্ব পায় পরিবেশ বিপর্যয় ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ। যে বিষয়ে দেশগুলো তাদের বাৎসরিক পরিকল্পনায় ও মুদ্রানীতিতে গুরুত্ব দিতে হবে বলে মনে করে আইএমএফ। বাংলাদেশ থেকে আসা প্রতিনিধিরাও মনে করেন সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সমান প্ল্যাটফর্ম করলে সেখানে বিনিয়োগ বাড়বে।

জলবায়ুকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে অর্থনীতির পরিকল্পনা ঢেলে সাজানোর সময় এসেছে বলে মনে করেন আইএমএফ প্রধান। এছাড়া টেকসই নগর উন্নয়নের পাশাপাশি তৃণমূলে যারা জলবায়ু বিপর্যয়ের শিকার তাদের জন্য ঢেলে সাজাতে হবে বিনিয়োগ পরিকল্পনা।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার জানান, আইএমএফের সাথে বৈঠক হয়েছে। রিজার্ভ ছাড়া বাকি সব শর্ত পূরণ করেছে বাংলাদেশ। তাতে ঋণ পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর। তিনি বলেন, 'আমরা ১০টার মধ্যে ৯টা শর্ত পূরণ করেছি, শুধু রিজার্ভ ছাড়া। আর রিজার্ভ এখন আমরা গড়ে তুলছি। তবে আমাদের কিস্তি ছাড় করা হবে। সেটা নিয়ে কোন সমস্যা হবে না।'

শিল্প-উন্নয়ন ও জলবায়ু সবকিছু যেন একে অপরের বিপরীত, পরিবেশকে বাঁচিয়ে শিল্পের নীতি কী হবে, পুঁজিবাজারের সক্ষমতা কিভাবে আরো বাড়ানো যায় আর এছাড়া মানবশক্তিতে বিনিয়োগ ও জিডিপিতে ট্যাক্সের অংশ বাড়াতে সক্ষমতায় বিনিয়োগে নিজেদের সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিলো আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক।