
চলতি মাসে গত ৫০ বছরের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ভারতে
ভারতে গত ৫০ বছর ধরে সেপ্টেম্বরের গড় বৃষ্টিপাতের চেয়ে এবার ১০৯ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হতে পারে। এতে দেশটির গ্রীষ্মকালীন ফসল নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। যা তোলার কথা সপ্তাহ দু'একের মধ্যেই।

ফেনীতে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩
ভারতীয় উজানের পানি ও অতিবৃষ্টির কারণে ফেনীতে সৃষ্ট বন্যায় সবশেষ তথ্য মতে ২৩ জন নিহত হয়েছেন। মানবিক বিপর্যয়কর ভয়াবহ এই বন্যায় জেলার ৬ উপজেলার ১১ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি ছিল। অনেকেই জোয়ারের পানিতে ভেসে যায়, তবে সে সময় মৃত্যুর সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

অতিবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত জুমের ধান, বান্দরবানের দুর্গম অঞ্চলে খাদ্য সংকট
অতিবৃষ্টির কারণে জুমের ধান নষ্ট হওয়ায় খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে বান্দরবানের থানচির সীমান্তবর্তী দুর্গম কয়েকটি পাড়ায়। চাল না থাকায় ভাতের পরিবর্তে বাঁশ কোড়ল, জুমের আলুসহ ফল খেয়ে জীবনধারণ করছেন দুর্গম এলাকার ৬৪টি পরিবার। সংকট দূর করতে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় উপজেলা প্রশাসন।

অতিবৃষ্টিতে চাঁদপুরের কয়েকশ মাছ ঘের-পুকুর প্লাবিত, লোকসানে চাষি
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে অতিবৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে কয়েকশ মাছের ঘের ও পুকুর। ঘেরের চার পাশে জাল দিয়ে মাছ আটকে রাখার চেষ্টা করেও সম্ভব হচ্ছে না। চাষকৃত মাছ ভেসে যাওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হাজারো চাষি।

বাধ ভেঙে প্রবল বেগে ঢুকছে পানি, বন্ধ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
৮ জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৯ লাখ মানুষ
ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে দেশের ১২ জেলা। বিভিন্ন স্থানে বাধ ভেঙ্গে প্রবল বেগে পানি ঢুকছে। এছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও ফেনীর বিভিন্ন অংশ প্লাবিত হয়ে যাওয়ায় বন্ধ আছে যানবাহন চলাচল। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২৯ লাখ মানুষ। দুর্গতদের সহায়তায় মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী।

কুড়িগ্রামে অতিবৃষ্টি-বন্যায় ৫৭ কোটি টাকার পাট নষ্ট
সোনালি আঁশ পাট। কিন্তু অনেক স্বপ্ন নিয়ে বোনা সেই পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কুড়িগ্রামের চর, দ্বীপচর ও নিম্নাঞ্চলের কৃষকরা। খরা, অতিবৃষ্টি আর বন্যায় নষ্ট হয়েছে হাজার হাজার হেক্টর খেতের পাট। যাতে অন্তত ৫৭ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে ২১ হাজারের বেশি কৃষকের। এরপরও হাটে স্থানীয় ফড়িয়াদের ইচ্ছে মতো দাম নির্ধারণ ক্ষতি বাড়াচ্ছে কৃষকদের।

দফায় দফায় বন্যা পরিস্থিতিতে লাগামহীন কৃষিপণ্য
সিলেটে বন্যার পর কৃষিপণ্য যেন লাগামহীন ঘোড়া। অতিবৃষ্টি ও দফায় দফায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় একদিকে যেমন ফসলের ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে অন্যদিকে তৈরি হচ্ছে বিক্রেতা থেকে ভোক্তা পর্যায়ে অসন্তুষ্টি। প্রত্যেক মৌসুমে সরবরাহ সংকট, পরিবহন খরচ নানা অজুহাত দেখালেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ পুরো বাজার ব্যবস্থা করে দিয়েছে স্থবির।

হবিগঞ্জে বন্যায় আউশ ধানের ব্যাপক ক্ষতি
অতিবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল আর বন্যায় হবিগঞ্জে আউশ ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চাষাবাদে দেখা দিয়েছে বড় ধরনের বিপর্যয়। এর ফলে চলতি বছর জেলায় প্রায় ৭৭ হাজার টন ধানের ঘাটতি দেখা দেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। যাতে রয়েছে আউশের ওপর নির্ভরশীল কৃষক পরিবারে খাদ্যঘাটতি দেখা দেয়ার শঙ্কা।

জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ডিএনসিসির ৫ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী
ভোর থেকে ভারী বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে আজ ( শুক্রবার, ১২ জুলাই) সকাল থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী। এছাড়াও ১০টি অঞ্চলে কাজ করছে ১০টি কুইক রেসপন্স টিম। প্রতিটি কুইক রেসপন্স টিমে ১০ জন কর্মী রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রধান প্রধান সড়কগুলি থেকে পানি নিষ্কাশন করা হয়েছে।

নেপালে ভূমিধসে দু’টি বাস নদীতে; নিখোঁজ ৬৫ আরোহী
নেপালে বিশাল ভূমিধসে দু’টি বাস ভেসে গেছে নদীতে; নিখোঁজ ৬৫ জন আরোহী। শুক্রবার (১২ জুলাই) ভোররাতে ত্রিশুলী নদীর শিমলতল পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগেই চলমান অতিবৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসে ভারত ও নেপালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় কমপক্ষে ৩২৩ জনে। বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে আসাম-পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে।

বন্যায় বিপর্যস্ত আসাম, মিজোরাম ও মণিপুর
অতিবৃষ্টি-বন্যায় বিপর্যস্ত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য আসাম, মিজোরাম ও মণিপুর। আসামে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ জনে। তলিয়ে গেছে এক লাখ একরের বেশি কৃষিজমি। প্লাবিত কাজিরাঙা আর দিব্রু-সাইখোয়া ন্যাশনাল পার্ক। অন্যদিকে, মিজোরামে ভূমিধসে প্রাণ গেছে তিনজনের; রাজ্যজুড়ে তীব্র বৃষ্টি আর বিভিন্ন এলাকায় বন্যার কারণে বুধবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে মনিপুরে।

দিল্লিতে অতিবৃষ্টি-দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় আটজনের প্রাণহানি
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে অতিবৃষ্টি ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় প্রাণ গেছে কমপক্ষে আটজনের। শহরের বিভিন্ন অংশে জলাবদ্ধতা, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্নসহ দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। হিমাচল প্রদেশ আর লাদাখেও মৌসুমের শুরুতেই আগ্রাসী রূপে বর্ষা।