গ্রামীণ কৃষি
কৃষি
0

অতিবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত জুমের ধান, বান্দরবানের দুর্গম অঞ্চলে খাদ্য সংকট

অতিবৃষ্টির কারণে জুমের ধান নষ্ট হওয়ায় খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে বান্দরবানের থানচির সীমান্তবর্তী দুর্গম কয়েকটি পাড়ায়। চাল না থাকায় ভাতের পরিবর্তে বাঁশ কোড়ল, জুমের আলুসহ ফল খেয়ে জীবনধারণ করছেন দুর্গম এলাকার ৬৪টি পরিবার। সংকট দূর করতে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় উপজেলা প্রশাসন।

বান্দরবানের থানচি উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় থাকেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বাসিন্দা। যেখানে যেতে সময় লাগে ২ থেকে ৩ দিন।

যাতায়াতের দুর্গমতার কারণে উপজেলা শহর থেকে চাল, ডালসহ নিত্য প্রযোজনীয় পণ্য নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। ফলে নিজেদের জুমে উৎপাদিত ফসলের উপর নির্ভর করে জীবনধারণ করেন দুর্গম এই এলাকার বাসিন্দারা।

বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টির কারণে জুমের ধান নষ্ট হওয়ায় খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন পাড়ায়।

রেমাক্রী ইউনিয়নের মেনহাত ম্রো পাড়া, বুলু ম্রো পাড়া, টাংখোয়াই ম্রো পাড়াসহ মিয়ানমার সীমান্তবর্তী কয়েকটি পাড়ার ৬৪টি পরিবার রয়েছে। ঘরে জুমের চাল না থাকায় এসব পরিবারের সদস্যরা বাঁশ কোড়ল ও জুমের ফলফলাদি খেয়ে দিন পার করছেন।

এক অধিবাসী বলেন, ‘জুম থেকে আমরা ধান তুলতে পারিনি। আমাদের রেশনও শেষ হয়ে গেছে। গত তিন মাস ধরে আমরা অসহায়ভাবে জীবনযাপন করছি।’

সংকট দূর করতে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

থানচির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন বলেন, ‘যে পাড়াগুলো একেবারে নেটওয়ার্কের বাইরে সেসব জায়গায় সহজে যোগাযোগ করা যায় না। আমরা আপনাদের কাছ থেকে জেনেছি যে, বেশ কিছু পরিবার খাদ্যের ঘাটতিতে রয়েছে। গতকালকে আমরা এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’

এর আগে ২০১৬ সালেও জুম চাষ না হওয়ায় খাদ্য সংকট দেখা দেয় থানচির দুর্গম এলাকার বিভিন্ন পাড়ায়।

tech