জাতীয় স্টেডিয়াম নিয়ে আর্চারি ও ফুটবল ফেডারেশনের ‘কাড়াকাড়ি’!

কথা বলেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
কথা বলেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ | ছবি: এখন টিভি
0

জাতীয় স্টেডিয়াম নিয়ে আর্চারি ও ফুটবল ফেডারেশনের মধ্যে যেন ‘কাড়াকাড়ি’ অবস্থা বিরাজ করছে। নভেম্বরে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য স্টেডিয়াম বরাদ্দ দেয়া হলেও, একই সময়ে সেখানে ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করতে চায় বাফুফে। অন্যদিকে জটিলতা এড়াতে আর্চারি টুর্নামেন্টের জন্য বিকল্প ভেন্যুর কথা ভাবছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ক্রীড়া উপদেষ্টা বলছেন, এ অবস্থায় জাতীয় স্টেডিয়ামে আর্চারি টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুযোগ নেই, এখন ফুটবলটাই প্রথম প্রায়োরিটি।

২৪তম আর্চারি এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশে। ২৫টি দেশের অংশগ্রহণে ঢাকায় ৭ থেকে ১২ নভেম্বর গড়াবে আসর। বড় এই স্পোর্টস ইভেন্টের জন্য এরই মধ্যে জাতীয় স্টেডিয়াম ও মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামকে বরাদ্দ দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। 

তবে শেষদিকে এসে বেধেছে বিপত্তি। জাতীয় স্টেডিয়ামে আর্চারির খেলা গড়াচ্ছে না, যার মূল কারণ নভেম্বরের দুই ফুটবল ম্যাচ।

তবে এই দুই স্টেডিয়াম ঘিরে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সেরে রেখেছে আর্চারি ফেডারেশন। শেষদিকে এসে এমন সিদ্ধান্তে ইমেজ ক্ষুন্ন হবে আর্চাারির, সেইসঙ্গে সময়ের স্বল্পতা থাকায় প্ল্যান ‘বি’ চিন্তা করতেও বেগ পেতে হবে ফেডারেশনকে— এমনটা মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘কিছুদিন আগে জানতে পারলাম যে এখানে ফুটবলের একটা ম্যাচ আছে, ইন বিটুইন, আমাদের টুর্নামেন্টের মাঝখানে। আমরা আসলে অপেক্ষা করছি। এখন পর্যন্ত ওই স্টেডিয়ামকে কেন্দ্র করে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন।’

আর্চারি ফেডারেশন কর্মকর্তাদের দাবি জাতীয় স্টেডিয়াম আর্চাারিকে দেয়া নিয়ে অবগত ছিল অন্য ফেডারেশনগুলো। বরাদ্দ দেয়া সত্যেও শেষ পর্যন্ত মাঠ না পাওয়ায় অবাকই হয়েছেন তারা। 

আরও পড়ুন:

ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য কাজী রাজীব উদ্দীন চপল বলেন, ‘আমাদের জাতীয় স্টেডিয়াম হলো স্বীকৃত পূর্ণাঙ্গ একটি স্টেডিয়াম। এখানে সব ধরনের সুবিধা আছে। যার ফলে যেটা হয়েছে যে, এখানে আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্সপেকশন হয়েছে। আমরা গত ফেব্রুয়ারি মাসে এটার অনুমোদন পেয়েছি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে। তো এটা ফুটবল ফেডারেশনকে অবহিত করা হয়েছিল এবং আমরা যোগাযোগ করেছিলাম। তারা আশ্বস্ত করেছিল যে আমরা হয়তো দিয়ে দিতে পারবো, ওই সময় আমরা কোনো প্রোগ্রাম রাখবো না। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে জানানো হয়েছিল যে, আপনারা এই সাত থেকে আট দিন অন্তত সেখানে কোনো প্রোগ্রাম দিয়েন না।’

তবে ক্রীড়া উপদেষ্টা অবশ্য বলেছেন ভিন্ন কথা। সাফ জানিয়েছেন জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রাধান্য পাবে ফুটবলই।

ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আর্মি স্টেডিয়ামও যথেষ্ট বড় স্টেডিয়াম এবং যথেষ্ট ম্যানেজ করে রাখা হয়েছে। এখানে করাটা সবচেয়ে ভালো হতো। কিন্তু এখানে আমরা পারছি না, কারণ আপনারা জানেন যে আমাদের এখন ফুটবলের প্রতি প্রায়োরিটিটা আছে।’

তিনি বলেন, ‘ওই ম্যাচগুলো, ভারত এবং গ্রানাডার সঙ্গে, খুব কাছাকাছি সময়ে। সেজন্য দুঃখজনকভাবে আমরা পারছি না এখানে করতে। তবে আমরা সুইটেবল এবং বেস্ট পসিবল প্লেসেই আয়োজনটা করবো।’

ফুটবলে জোয়ার চলছে। তবে দেশের প্রত্যেকটা খেলাই সমান গুরুত্বপূর্ণ। সবারই মাঠ ও পৃষ্ঠোপোষকতা প্রয়োজন। এরই মধ্যে আর্চারির সাথে এমন মাঠ কাণ্ডতে প্রশ্ন উঠছে, খেলাটাকে ছোট করে দেখা হচ্ছে না তো?

এসএইচ