কয়েকবছর আগেও টেনিসের হার্ড কোর্টে ব্যাট হাতে জমিয়ে তুলতেন ম্যাচ। জয়ের উল্লাসে মাততেন, মাতাতেন নিজ সমর্থকদের। তবে দুচোখে নতুন স্বপ্ন পূরণে বিভোর মাশফিয়া আফরিন। তাইতো টেনিস খেলোয়াড় থেকে এখন ম্যাচ রেফারি।
কয়েকদিন আগেই হোয়াইট ব্যাজ পাওয়ায় জুনিয়রসহ সিনিয়র পর্যায়েও টুর্নামেন্টের রেফারিংয়ে মাশফিয়াকে সবুজ সংকেত দেয় আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশন। এরপর দেশের মাটিতে প্রথম ম্যাচ সামলেছেন সহকারী রেফারির ভূমিকায়। জানালেন, দেশের টেনিস মাঠে রেফারিং করে আর্থিকভাবেও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে।
মাশফিয়া আফরিন বলেন, 'এটা কোনো ৯টা থেকে ৫টা জব না। তবে যে সপ্তাহে টুর্নামেন্ট হবে সে সপ্তাহে সম্পূর্ণ সময় দিতে হবে। টুর্নামেন্ট না করলে ফ্রি থাকা যাবে। সে দিক থেকে বলা যায় ফ্ল্যাক্সিবল একটা কাজ এটা। আর্থিক দিক থেকেও এটা সেরা একটা ক্যারিয়ার অপশন। কারণ সারাবিশ্বেই কাজ করার সুযোগ আছে। বিভিন্ন লেভেলে বিভিন্ন রকমের পেমেন্ট আছে।'
এই পর্যায়ে অনেক আগেই পৌঁছানোর সুযোগ থাকলেও তা কাজে লাগায়নি ফেডারেশনের কর্তাব্যক্তিরা। তবে সবশেষ কমিটির লক্ষ্য ভালো মানের খেলোয়াড় তৈরির পাশাপাশি ম্যাচ অফিসিয়াল শক্তিশালী করতে নজর দেয়া।
বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ হায়দার বলেন, 'ভালো লাইন্সম্যান হারিয়ে গেছে। এই দিকটা আমাদের শক্তিশালী করা দরকার।'
রেফারি তৈরির পাশাপাশি চেয়ার আম্পায়ারিংয়ে পুরুষের পাশাপাশি আছে দেশের নারীদের ঝোঁক। ফেডারেশেনের সুদৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের আম্পায়ার তৈরি করাও সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।