মেসির স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাবর্তন সবই ফুটবলের গল্প। তার পথচলা হয়ে উঠেছে এক বিরল সংগ্রামের গল্প। প্রত্যাশার চাপকে শক্তিতে রূপান্তর করে, সমালোচনাকে প্রেরণায় বদলে, প্রতিবারই তিনি ফিরেছেন নিজেকে করেছেন শাণিত, আরও উজ্জ্বল। মেসির এই প্রত্যাবর্তনের গল্প তাই কেবল ফুটবলের নয়, এটি স্বপ্ন দেখার সাহস এবং হার না মানার এক অনবদ্য উপাখ্যান।
মেজর লিগ সকার (এমএলএস) কাপ ফাইনালের আগে লিওনেল মেসি জানালেন, ইন্টার মিয়ামির সঙ্গে আরেকটি ফাইনালে পৌঁছানো তার কাছে বিশেষ কিছু। নতুন ক্লাব, নতুন লিগ তবুও জয়ের ক্ষুধা একই। মাসচেরানোর সঙ্গে প্রতিপক্ষ বিশ্লেষণ, ভিডিও দেখা, ট্যাকটিক্যাল কাজ—সব মিলিয়ে তার দল এখন দুর্দান্ত ফর্মে। মেসির মতে, এমএলএসের সময়সূচি ইউরোপের চেয়ে অনেক ভিন্ন। লম্বা সফর, শারীরিক খেলা সবই চ্যালেঞ্জিং।
জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে মেসির ভাবনাও খুব মানবিক। বললেন, বড় ক্লাবে খেলার চাপ, প্রতি মৌসুমে ‘সব জেতার’ বাধ্যবাধকতা তাকে কখনও কখনও উপভোগ করতে দেয়নি। সময়ের সাথে তিনি শিখেছেন জয়ের পেছনে ছোট ছোট মুহূর্তগুলোর মূল্য অনেক।
আরও পড়ুন:
শৈশবের কথা বলতে গিয়ে আবেগী হয়ে পড়েন তিনি। নিউ ওয়েলসের জার্সি গায়ে মাঠে নামার স্বপ্ন, ১৩ বছর বয়সে বার্সেলোনায় পাড়ি এ স্বপ্নের পথ তার কল্পনার চেয়েও বড় হয়ে উঠেছে। সহজাত ‘গরম মাথা’ স্বভাব, পারেদেস-ডে পলের মাঠের আগুন, আর পারেদেসের বোকা জুনিয়র্সে অভূতপূর্ব প্রভাব সবই তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী মেসি। দলের মানসিকতা, কঠোর পরিশ্রম, স্কালোনির সান্নিধ্য সবই এই দলকে বিশেষ করে তুলেছে বলে তার বিশ্বাস। স্কালোনি ও গার্দিওলা এই দুই কোচের প্রতি তার ভালোবাসা ও সম্মানও স্পষ্ট। লিওনেল স্কালোনির সঙ্গে তার সম্পর্ক, আর গার্দিওলার ফুটবল দর্শন মেসি মানেন দু’জনই তার ক্যারিয়ার বদলে দিয়েছেন।
সবশেষে ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে মেসির বক্তব্য সবচেয়ে সরল। তিনি বলেন, ‘আশা করি থাকতে পারব। না পারলে অন্তত দর্শক হয়েই দেখব।’
পরিবার, স্বাভাবিক জীবন, রোজারিও ফেরার আনন্দ সব মিলিয়ে মেসি জানিয়ে দিলেন, কিংবদন্তির আড়ালে লুকিয়ে আছে একজন খুব সাধারণ মানুষ।





