আসরের নবাগত দল কানাডার বিপক্ষে জয়টা প্রত্যাশিতই ছিল আর্জেন্টিনার। বলা চলে, হেসে খেলে জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের পসরা সাজিয়েছিল দু'দল। ১২ থেকে ১৪ মিনিটের মধ্যেই গোল পেতে পারতো আলবেসিলেস্তেরা। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি মেসিদের। তবে, গোলের জন্য তেমন অপেক্ষা করতে হয়নি। ২২তম মিনিটে ডি পলের পাস থেকে বল পেয়ে কানাডিয়ান গোলরক্ষককে বোকা বানান হুলিয়ান আলভারেজ। উল্লাসে মাতে আর্জেন্টাইন ভক্তরা।
গোল হজম করার পর কানাডার আক্রমণের ধার খানিকটা কমে যায়। সেই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা চালায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। তবে, প্রথমার্ধ্বে ওই এক গোলের লিড নিয়েই সন্তষ্ট থাকতে হয় স্ক্যালোনি শিষ্যদের।
বিরতির পর ধারাবাহিক খেলাটাই খেলতে থাকে আর্জেন্টিনা। ফলস্বরূপ আরও একবার নিশানাভেদ করে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এবার স্পটলাইটে আসেন লিওনেল মেসি। ৫১ মিনিটে গোল করে ব্যবধান বাড়ান আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এবারের আসরে এটি তার প্রথম গোল।
২-০ গোলে পিছিয়ে পরে যেন খেই হারিয়ে ফেলে কানাডা। বলার মতো তেমন আক্রমণ করতে না পারলেও একের পর এক ফাউল করে যায় ইতিহাস গড়ে সেমিতে আসা দলটি। যার কারণে তিনটি হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছে তাদের। দলটির কোচও সেই তালিকা থেকে বাদ যাননি।
ম্যাচের অন্তিম মুহুর্তে অবশ্য কয়েকটি জোড়ালো আক্রমণ করে দলটি। কিন্তু বাজপাখি খ্যাত এমি মার্টিনেজকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন কানাডার ফুটবলাররা। ফলে ম্যাচে কোনো গোল হজম না করে ফাইনাল নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা।