ফুটবল
এখন মাঠে
মহাদেশীয় ফুটবলে উপার্জন বেশি ইউরোপের
ফুটবলে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের আসরগুলোতে সবচেয়ে বেশি আয়ের সুযোগ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের। অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে ইউরোপ সেরারা পাবে ২৮ মিলিয়ন ইউরোর বেশি। অর্থমূল্য বিবেচনায় এরপরই অবস্থান কোপা আমেরিকার। কোপা চ্যাম্পিয়নরা পাবে সর্বোচ্চ ১০ মিলিয়ন ডলার। তবে এক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ।

চলতি বছর ফুটবল ভক্তরা সাক্ষী হতে যাচ্ছে চার মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের। আফ্রিকান নেশন্স কাপ ও এএফসি এশিয়ান কাপ এরইমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আর বছরের মাঝামাঝি সময়ে মাঠে গড়াবে ইউরোপ আর লাতিন ফুটবলের মুকুট অর্জনের মহারণ।

এবারই সম্ভবত শেষবারের মতো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে দেখা যাবে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে। অন্যদিকে, কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামবে মেসি বাহিনী। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন যেমন মর্যাদার ঠিক তেমনি সুযোগ থাকে মোটা অঙ্কের অর্থ আয়ের।

আর অর্থ উপার্জনের এই দৌঁড়ে সবার উপরে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। কেবল আসরটিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেই এক একটি দেশ পাবে ৯ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ইউরো। আর এই আসরে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে ২৮ মিলিয়ন ইউরোর বেশি আয় করতে পারবে চ্যাম্পিয়ন দল।

এরপরই কোপা আমেরিকার অবস্থান। মেসি, নেইমার, সুয়ারেজ, সানচেজদের এই আসরে শিরোপা জয়ী দল পাবে ১ কোটি মার্কিন ডলার। এছাড়া রানার আপ, তৃতীয় স্থান অর্জন করা দলের জন্য থাকছে মোটা অঙ্কের আর্থিক পুরস্কার।

এবারের আসরের আফ্রিকান নেশন্স কাপের আর্থিক পুরস্কার চোখ কপালে তোলার মতো। আইভরি কোস্টে আয়োজিত চলমান আসরে শুধু চ্যাম্পিয়ন দলই পাবে ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। যা আগের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি। আর রানার আপ দল পাবে ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। সালাহ, সাদিও মানেদের সাথে এবার অনেকের চোখ থাকবে ভিক্টর ওশিমেনের ওপর।

আর্থিক পুরস্কারের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে এএফসি এশিয়া কাপ। কাতারে চলমান আসরে চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। আর ৩০ লাখ মার্কিন ডলার পাবে রানার আপ দল। এছাড়া এশিয়ান কাপে খেলা প্রত্যক দলকেই দেয়া হবে ২ লাখ মার্কিন ডলার।

এসএসএস